জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নগরীতে মিছিল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গনে মিছিল নিয়ে জড় হন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিমুল্লাহ সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমেদ, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচ এম হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সি মো. শাহজালাল, জেলা গার্মেন্ট শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, সদর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি এজাজ আহমেদ, কাশিপুর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমতউল্লাহ মানিক, মাসুম, শেখ সালেহ আহাম্মদ রনি সহ প্রমুখ।
দুপুরে আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরা অনুপস্থিত থাকায় আদালতে সাগর নামে একজন সাক্ষী শুধু হাজিরা দেন। এসময় অসুস্থ্যতার কারণে জাকির খান আদালতে উপস্থিত হতে পারেন নি।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, একজন সাক্ষী হাজিরা দিয়েছেন। আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় চার্জ কোর্ট সাক্ষ্য নেননি। আজকে ১৭ নম্বর সাক্ষী এসেছিল।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, আজকে ১৭ নম্বর সাক্ষীকে ওয়ারেন্ট দিয়ে আনা হয়েছে। তিনিও এই মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না। উনি উল্টো বাদীর সাথে রাগান্নিত হয়েছেন- এই বলে যে, কেন তাকে এখানে আনা হয়েছে। কেন তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত তাকে না জানিয়ে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। ফলে আমরা আশা করতে পারি, জাকির খানের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। তিনি অচিরেই মুক্তি পাবেন।
জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, যারা বিএনপি দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের জন্য যখন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির কাঁদে তখন আমাদের দু:খ হয়। আজকে ষড়যন্ত্র করে জাকির খানকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। আর যিনি মামলাটি পরিচালনা করছেন তিনি বিএনপির কিছু না। আর যিনি মারা গেছেন তিনি জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সহ সভাপতি ছিলেন। শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানদের সাথে তাদের ওঠাবসা ছিল। ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা জাকির খানের মুক্তি চেয়ে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কেউ তার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ জানান না।