জলাবদ্ধতার দুঃসহ ভোগান্তিতে থেকে মুক্তি পাচ্ছে লালপুরবাসী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দীর্ঘ অর্ধযোগের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে লালপুরের ৫০ হাজার মানুষ। জলাবদ্ধতার দুঃসহ ভোগান্তিতে নিমজ্জিত এলাকাটির বাসিন্দারা মুক্তির স্বপ্ন দেখছে। আর এই স্বপ্ন দেখাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
হাঁটুপানি মাড়িয়ে জলাবদ্ধ পরিস্থিতি পরিদর্শনের মাত্র ১ সাপ্তাহের ব্যবধানে কার্যকরি প্রদক্ষেপ নেওয়ায় খুঁশি এলাকাটির বাসিন্দারা। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সাপ্তাহের মধ্যে দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে সেখানকার মানুষ ।
বৃষ্টি না হলেও লালপুরের অভ্যান্তরিন সড়ক থাকে বছরের ৯ মাস পানির নিচে। আর বৃষ্টির মৌসুমে নৌকা দিয়ে চলালের ঘটনা বহু পুরনো। এলাকাটি অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডে।
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য কাজী মঈন উদ্দীন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, দীর্ঘ অর্ধযোগের বেশি সময় ধরে শিল্প অধ্যুষিত ফতুল্লার এই এলাকাটির প্রায় ৭‘শ বাড়ির ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ৯ মাস জলাবদ্ধতায় ভুগছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান গত ৭ জুলাই এলাকাটিতে যান। হাঁটুপানি মাড়িয়ে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে দেখেন। এরপরই ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলকে।
জানা গেছে, লালপুরের পানি নিস্কাশনের জন্য ১৪ জুলাই বিশাল আকাড়ের ৩টি পানির পাম্প দিয়েছে জেলা পরিষদ। পাঠানো হয়েছে বেশ কিছু পাইপ।
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, প্রতিটি পাম্প ৪০০ হর্স পাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন। পরিচালনার জন্য ৩টি ট্রান্সফরমার (বৈদ্যুতিক শক্তিকে একটি সার্কিট হতে অন্য সার্কিটে পাঠায় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন প্রক্রিয়া) স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী সোমবারের মধ্যে কাজ শেষ হবে। মঙ্গলবার পাম্প গুলো চালু করা সম্ভব হবে। পাম্প গুলো চালু হলে শুধু লালপুর নয়, ইসদাইর, টাগারপাড়, গাবতলী এলাকার পানিও নিস্কাশন হবে। এতে দীর্ঘ সময়ের দুঃসহ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে হাজার হাজার মানুষ।
এ জন্য সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলকে ধন্যবাদ জানান।