জমি দখলে জড়িত মন্ত্রী-এমপির নাম প্রকাশ করে বিচার করতে হবে: তরিকুল সুজন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা‘র সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেছেন, বাংলাদেশের ন্যারেটিভ আওয়ামী লীগ তৈরী করতে চেয়েছিল। এই নারায়ণগঞ্জকে অচল নারায়ণগঞ্জে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এই অচল নারায়ণগঞ্জকে সচল করা দরকার। সকাল থেকেই শহরের সড়কগুলোতে বাস, গাড়ি, বিভিন্ন পরিবহন থেমে থাকে। আমরা আগেও বলেছিলাম, শহরে প্রয়োজনের তুলনায় গণপরিবহন অত্যন্ত বেশি। ৪ ফেব্রুয়ারিতে পত্রিকায় রিপোর্ট আসে, শহরে সড়কে প্রায় ৫ শতাধিক বাস রয়েছে। যার মধ্যে দেড় শতাধিকের রুট পারমিট নাই, প্রায় দেড় শতাধিক যানের ফিটনেট পারমিট নাই। ডিসি বলেছিলেন, যেসকল বাসের ফিটনেস, রুট পারমিট নাই তাদের চিহ্নিত করা হবে। ডিসি সেটা করেন নাই। চাদাবাজি করে আগে যে সকল স্ট্যান্ড করা হয়েছিল, সেগুলো এখনও আছে। শহরকে সচল করতে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে হবে। সেই সাথে রুট পার্মিট, ফিটনেস পার্মিট নাই এসকল বাসকে চিহ্নিত করে সড়কে চলাচল বন্ধ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে কাজ করে নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। যারা দখলদার, চাঁদাবাজ তাদের উচ্ছেদ করতে হবে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে বালুর মাঠ এলাকায় নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির অবস্থান কর্মসূচীতে এ কথা বলেন তিনি।
অবস্থান কর্মসূচীতে তরিকুল সুজন বলেন, নারায়ণগঞ্জের বহু জায়গা, এপার্টমেন্ট, বাড়ী তারা দখল করে রেখেছেন। আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, এই নারায়ণগঞ্জের যেসকল জমি দখলে নেওয়া হয়েছে তা মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। ২০১৫ সালে এখানে মাইক্রো স্ট্যান্ড ছিল। তখনকার সময়ে যারা জমি দখলের চেষ্টা করছিলম আমরা তাদের বাধা দিয়েছিলাম। সেই বাধা দেওয়ার কারণে তারা আমাদের অফিসে গিয়ে থ্রেট দিয়েছিল। জবরদস্তি সরকারী জমি দখলের চেষ্টা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা টিকে ছিল। ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষদের শোষণ করে ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে ছিল। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি শক্তির বলে, জোড় খাটিয়ে ক্ষমতায় টেকা যায় না।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে নতুন করে সরকারি জায়গা, ব্যক্তিগত সম্পদ দখল করার চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বলবো অবৈধভাবে সম্পদ যে বিক্রি হয়েছে তা তার আসল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিন। জনগণের সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন। বালুর মাঠে দখল হওয়া জায়গাগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা আহ্বান জানাই। এর সাথে রাজউকের কর্মকর্তা যারা যুক্ত, যেসকল মন্ত্রী, এমপি যুক্ত তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তাদের সকলকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা বাসদের সদস্য-সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমান, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মন্টু, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, জেলা খেলাঘর আসরের উপদেষ্টা রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, নাগরিক কমিটির কার্যকরী সদস্য হাফিজুল হক, নারী নেত্রী পপি রানী সরকারসহ আরও অনেকে।