ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে ছাত্র ফেডারেশনের মতবিনিময়
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার ছাত্র সংগঠনসমূহের সাথে মত বিনিময় করেছে ছাত্র ফেডারেশন। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৫ টায় জেলা ছাত্র ফেডারেশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া এই সভায় জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের প্রতিনিধি আজীজুল ইসলাম রাজীব, তোলারাম কলেজ শাখার সভাপতি মনির হোসেন জিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইফাত ইমতিয়াজ অয়ন্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মার্কসবাদীর প্রতিনিধি দীপা নাগ তন্দ্রা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের প্রতিনিধি এইচ এম শাহীন আদনান, ছাত্র অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি মোঃ মহিবুল্লাহ প্রধান।
সভাপতির বক্তব্যে ফারহানা মানিক মুনা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ অভুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তবে অভ্যুত্থানের পরবর্তীতেই সবার আগে করণীয় ছিল শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা, আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করা। তবে ১ বছর পরে এসে দেখতে পাচ্ছি এখনো পর্যন্ত নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি,আহতরা এখনো পর্যন্ত সুচিকিৎসা পাচ্ছে না এবং গণহত্যার বিচার প্রায় স্থিতিশীল।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নারায়ণগঞ্জ আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, “২৪ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষাপটে আন্দোলনকে দমানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে ছাত্রলীগ যুবলীগেরা। সে সময় ছাত্রদলের ওপর বিভিন্ন প্রতিকূলতা আসলেও তারা লড়াই সংগ্রাম জারি রেখেছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের প্রতিনিধি এইচ এম শাহীন আদনান বলেন, তিনি বলেন গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা এবং বিভিন্ন প্রতিবাদী কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও ঐক্য না থাকার ফলে ১৫ বছর পর ২০২৪ এ ছাত্রদের ডাকে যখন জনতা একত্রীত হয় তখনই আসলে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল চ্যালেঞ্জ নারায়ণগঞ্জ এর ছাত্র জনতা প্রতিহত করেছিল। আমাদের চেষ্টা ছিল নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনের সূত্রপাত এবং নানান পুলিশী হয়রানীকে পেছনে ফেলে আন্দোলনকে সংগঠিত করা।
ছাত্রঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি মহিবুল্লাহ প্রধান বলেন, আন্দোলনের পরবর্তীতে শহিদদের তালিকা,আহতদের পুনর্বাসন নিয়ে যত দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সাথে কাজ করা প্রয়োজন ছিল তা ইন্টারিম সরকার করতে পারেনি এবং যার ফলশ্রুতিতে গণঅভ্যুত্থানের আহতরা রাস্তায় নেমে এসেছে। যা খুবই লজ্জাজনক বিষয় আহতদের পুনর্বাসন এবং শহীদদের সঠিক তালিকা প্রস্তুতে কাজ করা জরুরি।
ছাত্র ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক ইফাত ইমতিয়াজ অয়ন্ত বলেন, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বহাল আছে। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার জন্য প্রতিটি সংকটকে ধরে ধরে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মার্কসবাদীর প্রতিনিধি দীপা নাগ তন্দ্রা বলেন, যখন সারাদেশে পুলিশ প্রশাসনের ভয়ঙ্কর আধিপত্য চলছে তখন নিজ উদ্দ্যেগে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি।
এছাড়াও মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জেলার সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইউসা ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধা, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুক্ত শেখ, তোলারাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক রাইসা ইসলাম, সদস্য সচিব মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা, নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার আহ্বায়ক মৌমিতা নুর,সদস্য শেখ সাদী,তাহমিদ আনোয়ার,শান্ত চক্রবর্তী। ভোলাইল আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক মাহাদি হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্নীল শোভন।পাগলা স্কুল কমিটির আহ্বায়ক আফসানা আহাম্মেদ। ফতুল্লার সংগঠক সিয়াম সরকার, মিতু, মিথিলাসহ অনেকে।