ছাত্রলীগ যুবলীগদের আটক করতে টিপুর ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু বলেন, ‘এখানে প্রশাসনকে আমি বলতে চাই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে প্রেতাত্তারা মুখোশ পরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-যুবলীগদের দিয়ে মিছিল করায় তাদেরকে যদি আটক না করেন আমরা এমন আন্দোলনের ডাক দেবো যাতে আপনারা বেকায়দায় পড়ে যাবেন। অতএব আমরা আন্দোলনে যাওয়ার আগে তাদেরকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করেন।’
বুধবার (৩০ এপ্রিল) গণঅভ্যুত্থানে আহত সি ক্যাটাগরির যুদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক ও শহীদ পরিবারকে সঞ্চয় পত্র প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যেগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে এ আল্টিমেটাম দেন টিপু।
তিনি আরও বলেন, ‘ জেলা প্রশাসকের অনেক সুনাম রয়েছে কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সেদিন যে গডফাদার ও তার লোকেরা এই ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে সেই হত্যা মামলায় এখন কেউ আটক হচ্ছে না। আপনি উপদেষ্টাদের জানিয়ে দেবেন, যদি জেলায় জেলায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের আটক না করা হয় তাহলে আমরা আবারো আন্দোলনে নামবো। কারণ যখন তারা আমাদের সামনে কোন সামাজিক বা প্রশাসনিক অনুষ্ঠানগুলোতে আসো তখন আমাদের রক্ত টগবগ করে। তাদেরকে কখনোই ক্ষমা করা যাবে না। যারা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন, তারাই সচিবালয় থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা বেশ কয়েক প্রকারের হতে পারে, হোক সেটা পারিবারিক, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়। আমরা আমাদের দেশের মধ্যে স্বাধীন ছিলাম না, রাজপথে কথা বলতে পারিনি, ভোট দিতে পারেনি। আমাদের দিনের ভোট রাতে হয়ে গেছে, সাংবাদিকরা গডফাদারের বিরুদ্ধে সত্য কথা লিখতে পারেনি। এই নারায়ণগঞ্জের শেখ হাসিনা ও গডফাদারের যারা দালাল ছিল তাদের সামাজিক এবং প্রশাসনিকভাবে বয়কট করতে হবে।’
টিপু আরও বলেন, ‘কার্ড দিলেই দাওয়াত খেতে যাবেন না, কারণ তারাও আন্দোলনের সময় ছাত্রদের আঘাত করেছিল। যারা গডফাদার শামীম ওসমানদের সাথে আতাত করার চেষ্টা করবেন, তাদের জাতি কখনো ক্ষমা করবে না। যদি আমার ভাই বোন ও সন্তানরা নিজেদের তাজা রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত না করতো তাহলেসেই খুনি হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করা যেত না। যেভাবে আমরা ৭১ ও ৫২কে ভুলিনি সেভাবেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকেও ভুলে যাওয়া যাবেনা। ’
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মঈনুদ্দিন আহমদ।