ছাত্রদের ঘাম-রক্তের অর্জন অন্যের গোলায় তুলে দেওয়ার জন্য না: আবুল হাসান রুবেল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেছেন, আমাদের সব কিছু করতে হবেনা এই কথাটা যেমন ঠিক। তেমন ভাবে কি হচ্ছে; এসবের উপর আমাদের নজরদারি থাকতে হবে, এই কথাটাও ঠিক। ছাত্ররা এই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাহলে তারা নজরদারি করবে না তো কে নজরদারি করবে। ছাত্ররা নিজেদের ঘাম-রক্তে যে অর্জনটা করেছে, সেটা অন্য কারো গোলায় তুলে দেওয়ার জন্য না। এই যে পরিবর্তনটা হয়েছে এটা রক্ষা করার দায়িত্বটাও কিন্তু আমাদের সকলের।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ‘কেমন নারায়ণগঞ্জ চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজার যে মনিটরিং করছে তাদের মনিটরিং করার দায়িত্বটা আমাদের। রাস্তা-ঘাটে পুলিশ ঘুষ খাচ্ছে কিনা এটা দেখবে কে? ছাত্ররা দেখবে। তবে, আমরা নিজেরাই পুলিশ হয়ে যাবো না, ছাত্রলীগের মতো আমরা সমন্বয়কও হয়ে যাবো না। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাকে কোথায় কাজে লাগানো যায় আমরা সেই চেষ্টা করবো। আমাকে অনেকে বলেছে, শেখ হাসিনা থাকতে তোদের রাজনীতি করে লাভ কি। আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশ হচ্ছে একটা জোয়ার ভাটার দেশ। এখানে কথন প্রবোল ঢেউ উঠবে, সেটা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। এই সরকারের পতন অনিবার্জ ছিলো, ইতিহাস আমাদের সেটাই বলে। এই জনপদের মানুষের ইতিহাস বলে, তারা বার বার জেগে উঠেছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখার দরকার ইতিহাস এই কথাটাও বলে, আমরা আমাদের অর্জনকে রক্ষা করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অপমান করেছে শেখ হাসিনা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি কখনো আমার বাবার সার্টিফিকেট ব্যবহার করি নাই। কিন্তু শেখ হাসিনা আামাদের এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে, আমি যদি বলি আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তার; তাহলে লোকেরা বলবে তুমি সুবিধা ভোগি। কোটা মার্কা। এমন অপমানজনক পরিস্থিতির জায়গাটাও তৈরি করেছে শেখ হাসিনা।
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশন এর সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, গণসংহতি আন্দোলনের অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন আলম, আবদুল আল মামুন, সিদ্ধিরগঞ্জ কমিটির মাহমুদ কলি হারুন, জিয়াউর রহমান জয়, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, সৌরভ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, মানবাধিকার কর্মী নাজমুল হাসান রুমি প্রমুখ।