চেয়ারম্যান সামসুল ইসলামের এমপি প্রার্থী ঘোষণা না.গঞ্জ-৩ আসনে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁয়ে চলছে নির্বাচনি আমেজ, ২০১৪ সাল থেকে এখানকার সংসদীয় আসন (নারায়ণগঞ্জ-৩) লাঙ্গলের দখলে থাকলেও, এবার আওয়ামী লীগ খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজপথে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরাও এখন নৌকার দখলে নিতে চাচ্ছে এই আসটিতে। এবার সোনারগাঁও উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলায় রয়্যাল রির্সোটে একটি সংবাদ সম্মেলন করে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ‘৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লোগানকে সামনে রেখে ওই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে আমাদের বড় অর্জন। দীর্ঘ নয় মাস লড়াই শেষে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে এনেছেন মহাবিজয়। এ মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশ রক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ১৯৭১ থেকে শুরু করে ২০২৩ পর্যন্ত স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত করে আসছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখন সক্রিয়। বিদেশি তৃতীয় শক্তির ওপর ভর করে স্বাধীন দেশকে আফগানিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ দিতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালে তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে কারভোগ করি। দীর্ঘ ৫৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। রাজনৈতিক জীবনে কারাবরণ, নির্যাতন সহ্য করেছি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো পুরস্কার চাইনি। নেত্রীর কাছে চাইলে অনেক কিছু পেতাম। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, সেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জামায়াত বিএনপির অবরোধ, হরতাল ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করি। দেশের সব মুক্তিযোদ্ধারা একটি করে ভিডিও বার্তা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে দেশ বাঁচানোর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান করি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনিসহ তার পরিবারের তিনজন সদস্য আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। যিনি মনোনয়ন ছিনিয়ে আনতে পারবেন, তিনিই সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।