চাষাঢ়ায় বদিউজ্জামান নিহত: শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৩৬জনের বিরুদ্ধে মামলা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বদিউজ্জামান নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী মোসা. আদুরী খাতুন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম।
মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন-
১.সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২.সাবেক সেতু ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
৩.সাবেক এমপি শামীম ওসমান
৪.আজমেরী ওসমান
৫.অয়ন ওসমান
৬.জাকিরুল আলম হেলাল
৭.শাহাদাৎ হোসেন সাজনু
৮.আয়ুব আলী
৯.বাবু
১০.সবুজ
১১.সবুজ শিকদার
১২.সফিক
১৩.কাজী শাওন
১৪.আব্দুল মাজিদ খন্দকার
১৫.খোকন (৪৫)
১৬.রহমান (৪৮)
১৭.কামাল হোসেন (৫৫)
১৮.সেলিম আহম্মেদ হেনা (৫৪)
১৯.রুস্তুম
২০.আক্তার (৫২)
২১.মোঃ শামিম
২২.কাউছার আহম্মদ পলাশ
২৩.লিটন
২৪.কবির
২৫.নিজাম খান
২৬.পান্না (৩৬)
২৭.সঞ্জিত চন্দ্র দাস (৫২)
২৮.মোঃ আবুল হোসেন (৫৮)
২৯.গাজী নূরে আলম (৫০)
৩০. বফিকুল ইসলাম ওরফে কানা রফিক (৫৫)
৩১.মোজাম্মেল (৪৫)
৩২.রোমান (৫০)
৩৩.মোঃ শাহাবুদ্দিন আকন্দ (৫০)
৩৪.জাকির হোসেন চেয়ারম্যান
৩৫.ফজর আলী চেয়ারম্যান
৩৬.মোঃ শাহীন রাজু মেম্বার
মামরার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, (৩০-৩৩) নং আসামীরা (১-৩) নং আসামীর নিদের্শে ছাত্র জনতাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাথারি গুলি ও আক্রমন করার নির্দেশ প্রদান করলে অন্যান্য সকল আসামীগণ অবস্থারত ছাত্রজনতার উপর ককটেল বিস্ফোরন করে ভীতির সৃষ্টি করে এবং তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা এলোপাথারি গুলি ও মারধর আরম্ভ করেন। আমার ফুফাত দেবর মোঃ স্বাধীন মিয়া এবং আমার স্বামী বাড়ীতে ফেরার পথে আনুমানিক সকাল ১০:৩০ মিনিটে চাষাড়া শহীদ মিনানের গেইটের সামনে রাস্তায় পৌঁচ্ছালে আসামীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দ্বারা এলোপাথারি আঘাত করিলে বদিউজ্জামান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তার হাতে থাকা একটি REDMI 13 স্মাট মোবাইল ফোন ২৪নং বিবাদী জোরপূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায়। তখন আমার দেবর মোঃ স্বাধীন মিয়া ডাকচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন সহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। দুপুর ১২:০০ টায় তখন লাশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (২৯-৩৩নং) আসামীগণ লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। যারা লাশ নিয়ে যায় ভয়ে তারা অন্যত্র সরে যায়। পরেেআনুমানিক সন্ধ্যা ৬:০০ টার দিকে আবার আসিয়া হাসপাতালের ভিতরে লাশটি নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক চিকিৎসা শেষে ভিকটিম বদিউজ্জামান কে আনুমানিক ৬টা ৩৫ মিনিটে মৃত ঘোষনা করেন। অতপর বিষয়টি জানাজানি হইলে (২৯-৩৬নং) আসামীগণ আমার ফুফাত দেবরকে তার আত্মীয় স্বজনকে পোষ্ট মর্টেম ও জানাজা ব্যতিত মৃত দেহ গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। মোঃ স্বাধীন মিয়া নিরুপায় ও ভয়ে আতংকিত হইয়া ভিকটিমের গ্রামের নিজ বাড়ী রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার মাঝাপাড়া গ্রামে নিয়ে যাই এবং জানাযা শেষে তার লাশ দাফন কাফন সম্পন্ন করে। ১-২নং আসামী রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের ইন্ধোনে ও পরামর্শে ৩নং আসামীর হুকুমে আনুমানিক প্রায় ১৫০ জন্য সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ ভাবে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করে।