চাষাঢ়ায় থেকে যেন মেট্রো রেল ছাড়া হয় সেই ব্যবস্থা করবো: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, আমরা নগরবাসীর চিন্তা করে হকারদের সড়ক থেকে উঠিয়েছি। আবার তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় হলিডে মার্কেট করে দিয়েছি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম, তাদের কেউ কেউ বঙ্গবন্ধু সড়কে বসছে। তারা হলিডে মার্কেট ছাড়া অন্য কোথাও বসার প্রশ্ন আসে না। তারা একবার বসে, উঠিয়ে দেওয়া হলে পরে আবার এসে বসে। তারা চোর-পুলিশ খেলা করে রাস্তায় বসে। এর উপর এলকার ছেলেপেলে এদের সড়কে বসতে দেয় ও বিনিময়ে টাকা নেয়। ঈদের পর আমরা একসাথে বসে আলোচনা করে এর সমাধান করবো।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেএমইএ‘র ভবনে প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলসহ বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দ।
সেলিম ওসমান বলেন, ট্রাক মালিকদের সাথে সরাসরি কথা হয় নি। কিন্তু তারা ভলানটিয়ারদের মাধ্যমে সড়কে যাতায়াত সুন্দর রাখতে সাহায্য করেছে। তার জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। হকারদের সড়ক থেকে সরিয়ে আনায় শহরবাসীর হাটা-চলায় স্বস্তি এসেছে। বিশেষ করে স্কুলে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা চলাফেরা সাচ্ছন্দে করতে পেরেছে। নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পাঞ্চল। তাই এখানের সমস্যা সমাধান করতে হবে। ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই পাশে গ্রিল করে দেওয়া হবে, যাতে কেউ সড়ক দখল করে বসতে না পারে।
তিনি বলেন, হকারদের সেই ঈদের মার্কেটটা আগামী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত থাকবে। আমি দেখেছি সিলেটে হকারদের উচ্ছেদের পর মার্কেট করা হয়েছে। এখানেও এটি করা সম্ভব। এ কাজটা সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনকে দিয়ে সম্ভব হবে। সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে যতটুকু সহযোগিতা আশা করেছিলাম পুলিশের থেকে, ততটুকু পাইনি। কারণ পুলিশের সংখ্যা কম। তুমি যে টাকা দেওয়া হয় তার বাড়িয়ে দিয়েছে যার কারণে রাস্তাঘাট একটু সহজ হয়েছে। চিন্তা করতে হবে। সুন্দর একটা কমপ্লেক্স আছে। সিটি কর্পোরেশনকে একসাথে বসে ঈদের পরে আলোচনা সভা দেখে সিটি।
তিনি আরও বলেন, আশা করি মেট্রো রেল আমরা পাবো। অন্তত চাষাঢ়ায় থেকে মেট্রো রেলটা ছাড়া হয় সেই ব্যবস্থা করবো। এর জন্য ডাবল ইঞ্জিন প্রয়োজন হবে। আমরা এমপিরা ও মেয়র মিলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে হলেওেএ কাজটি ইনশাল্লাহ করবো। আল্লাহর রহমতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ হয় নাই। আমাদের সবারই বয়স হয়েছে। ঈদের পর প্ল্যানিং করে শহর সাজাতে হবে। আরও গুণী ব্যক্তিদের নিয়ে বসতে হবে। মেয়রকে বলেছি যতগুলো দল আছে সবগুলো দলকে চিঠি দেন, নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর করার জন্য তারা কে কি করতে পারেন। প্রেস ক্লাব খেয়াল রাখবেন আগামী চিঠি লিখবেন কারও কিছু বলার থাকলে, তা মিটিং এ জানাতে। এর পর কাজ শুরু হলে শ্রমিক নেতারা এসে বাধা দিবে, মিছিল করবে, দখল করবে। এটা যেন না হয়। মিটিং এর আগে যারা কথা বলতে চায়, তারা যেন একসাথে বসে কথা বলে।