ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জনশূন্য নগরী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, গুড়ি বৃষ্টি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথেই দফায় দাফায় চলেছে ভারী বর্ষণ, সাথে যুক্ত আছে প্রচন্ড গতির হাওয়া। প্রায় সব দোকান বন্ধ, সড়কে নেই যানবাহনের চাপ। এমতাবস্থায় জনশূন্য হয়ে পরেছে নগরী এবং আশেপাশের এলাকা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে এমনই দৃশ্য দেখা যায় নগরীর চাষাড়া, কালির বাজার, ১নং রেল গেট, ২নং রেইল গেটসহ প্রধান সড়কগুলোতে। বৃষ্টির কারণে চাকরীজীবি ও বিশেষ প্রয়োজন বাদে সড়কে দেখা যায়নি কেউকে। যারা বিশেষ প্রয়োজনে বের হয়েছেন তারা তাড়াহুড়ো করছেন গন্তব্য পৌছানোর জন্য। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর প্রধান সড়কগুলো জমেছে হাটু সমান পানি। জলাবদ্ধতায় বন্ধী হয়েছে সমগ্র নগরবাসী।
এসময় নিজেস্ব দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ি আফজাল আলম জানান, খবরে দেখেছি ঘূর্নিঝড় রিমালের কারণে দেশের সব জায়গায় বৃষ্টি থাকবে। তাও দোকান খুলে বসেছিলাম টুকটাক বেচাকেনার জন্য। সকাল থেকে বসে আছি দোকানে, কোন কাস্টোমার নেই। পরে যতো দিন বাড়লো ততোই বৃষ্টিও বাড়তে থাকলো। দোকাদের ভিতর পানি চলে আসছিলো। তাই দোকান বন্ধ করে বাসায় যাচ্ছি।
কর্মস্থলে যাওয়া সেলিম মাহমুদ জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি চলছে কিন্ত হটাৎ করেই বৃষ্টির গতি বেড়ে যায়। আমি যখন বাসা থেকে বের হয়েছি তখন বৃষ্টি কম ছিলো। এখন বৃষ্টি এতে বেড়েছে যে ছাঁতা ব্যবহার করেও শেষ রক্ষ হয়নি। সম্পূর্ন ভিজে গেছি। এই বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর, ঠান্ডার মতো রোগ লেগেই থাকবে। কিন্তু অফিসে ছুটি দেয়নি তাই জীবিকার টানে বাধ্য হয়েই এই ধকল সহ্য করে কর্মস্থলে যাচ্ছি। বৃষ্টি কারণে সড়কে পানি জমেছে, ফুটপাত দিয়েও হাটার অবস্থা নেই। এই সুযোগ নিয়েছে রিকশা চালকরা। সড়কে রিকশা নেই বলেলেই চলে, যারা আছে তারা ২০ টাকা ভাড়া চায় ৪০ টাকা।