ঘুষের সেই ৪২ লাখ টাকার মামলায় ডিসি অফিসের সার্ভেয়ার গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টন উদ্ধারের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত কাওসার আহমেদকে পরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টন বহনকারী জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন (২৮) ফতুল্লার কায়েমপুরের সোদেক আলীর ছেলে। এবং কাওসার আহমেদ (৪৩) কুমিল্লার সদর দক্ষিনের রসূলপুর মধ্যপাড়া এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার।
দুদক সচিব গণমাধ্যমকে জানান, মামলায় ৪২ লাখ টাকার কার্টন বহনকারী মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাওসার আমেদকে আসামি করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে আসামি সার্ভেয়ার কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি জাহিদুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে দুদক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে কার্টনটিসহ এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হলে তার নির্দেশে কার্টনসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ওই কার্টন খুলে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এতে এক হাজার টাকার ৩ হাজার ৭০০টি নোট এবং ৫০০ টাকার এক হাজারটি নোট পাওয়া যায়। গণনা শেষে এই টাকা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জব্দকৃত টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারিতে জমা রাখা হয়। পরে গত ১৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেন। এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি দুদকের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।