রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Dis_leadLed01Led05বিশেষ প্রতিবেদন

ঘুম ঘরে বন্ধ হচ্ছে সিলিং ফ্যান, কাঁথা উঠছে গায়ে

সামিতুল হাসান নিরাক, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদায় নিতে শুরু করেছে মৌসুমি বায়ু। প্রকৃতিতে এখনও হেমন্তকাল। পালা বদল করে এরপরই আসবে শীতকাল। তবে এখনই জাঁকিয়ে শীত চলে আসার সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে আগত উষ্ণ হাওয়ার অবসানে শেষ হলো আশ্বিন। তাপমাত্রা ঘনবসতি এলাকা গুলোতে স্বাভাবিক থাকলেও, শহরের বাইরে অনেকটা কম। পায়ের কাছে কাঁথা নিয়ে ঘুমাতে হয় এখন। সন্ধ্যা-রাতে প্রয়োজন না হলেও শেষ রাতে পায়ের কাছের কাঁথা উঠে যাচ্ছে গায়ে। ঘুম ঘরেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে সিলিং ফ্যান।

নারায়ণগঞ্জে গ্রামঞ্চল আড়াইহাজার, সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লার বড় একটি অংশে শীতের সঙ্গে সঙ্গে সকালে ঘাসের ডগায় শিশির জমছে। কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশার সঙ্গে যেন উঁকি মারছে শীত। প্রকৃতিতে এখন এমনই ঋতুবদলের আয়োজন। প্রস্তুতি নিচ্ছে দোকানিরা শীতের পোশাক উঠাতে। ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে পথের ধারে শীতের পিঠা-পুলির দোকান। হেমন্তের বিদায় না হতেই শহর জুরে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। উত্তর থেকে বাতাস বইতে শুরু করেছে। দেশে শীতের মৌসুমি বায়ু এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সাধারণত আমরা দেখতে পাই ভাদ্র মাসে শীতল হাওয়া বইতে থাকে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘকয়েক বছর ধরে শীতের ঠান্ডাভাব পেতে কার্তিক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিবারের মতো এবার আর কাতির্কের প্রথম সপ্তাহে শীত অনুভূত হয়নি। মূলত শেষের দিকেই মিলছে শীতের আমেজ। খুব ভোর-রাতের আধারে কোথাও কোথোও মিলছে হিমেল হাওয়ায় কুয়াশায় আচ্ছন্ন প্রাকৃতিক বৈচিত্রের পরিবর্তন।

আশ্বিনের মাঝামাঝি থেকে দেশের আবহাওয়া কিছুটা শীতের আমেজ বয়ে এনেছে। শীত বরণের প্রস্তুতিতে ইতোমধ্যে সবুজ গাছগুলোও যেন পাতা ঝড়ানোর পালা শুরু করে দিয়েছে। বেশ কয়েক দিনে মৃদু শীত উকি দিচ্ছে শহুরে জীবনে। ভোর রাতে হলাকা ঠান্ডা আর হিম হিম বাতাস। অবচেতন মনেই শহরবাসী জড়িয়ে নিচ্ছে হালকা কাঁথা বা কম্বল।

ভোরে শীতলক্ষ্যা নদীর পারে ঘুরতে আসা এক তরুণীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, দিনের বেলা সূর্যের রেশ থাকলেও বিকেলটা খুব ভালো কাটে। হেমন্তের শীতল বাতাস বইছে নদীর পাড়টাতে তাই শীতের আগমনী বার্তা খুব উপভোগ করছি। বিশেষ করে ভালো লাগে গভীর রাতে যখন মিহি কুয়াশা ছোয়া পাই।

মুখ ভরতি সাদা দাঁড়ী হাতে লাঠি নিয়ে গুটি গুটি পায়ে হাটছেন হাজী নূরল হক। শীতের প্রসঙ্গে তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, শীতের দিন আমার বরাবরই ভালো লাগে। তরুণ বয়সে আমি শীতের অপেক্ষায় থাকতাম শিশির ভোরে গাছে থেকে নামানো তাজা খেঁজুর রস খাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই দিন গুলো আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই শেষ বয়সে বিকালটায় হাটতে বের হয়েছি শীতকে স্বাগত জানাতে।

RSS
Follow by Email