সোমবার, জুলাই ১৪, ২০২৫
Led04Led05রাজনীতি

গিয়াসউদ্দিনের ঘোষণা ‘আজ থেকে না.গঞ্জ চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জকে আজ থেকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।

সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ত্রাস ও চাদাবাঁজদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা -চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বক্তব্য সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন বলেন, আজ থেকে আমার এলাকা তথা নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত ঘোষনা করলাম। এখন থেকে কেউ চাদাঁবাজি সন্ত্রাসী করতে পারবে না এবং কেউ চাদাঁ দিতে পারবে না। এখানে চাদাঁবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করে গেছে। আওয়ামী দোসর ও সাত খুনের ফাসির আসামী নুর হোসেন পরিবার এখনো সে জেল খানায় বসে টেলিফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অরাজকতা করছে। জেল কর্তৃপক্ষে সর্তক করে বলতে চাই, জেল খানায় বসে যদি নুর হোসেন কোন অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এর দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। কেউ যদি চাদাঁবাজি করতে আসে তার হাত-পা ভেঙ্গে দিবেন। ব্যবসায়ি ভাইরা কেউকে কাউকে চাদাঁ দিবেন না, যদি কেউ চাদাঁ দাবি করে তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবেন। আর যদি আপনারা না পারেন তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবেন আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবো।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণঞ্জে একজন গডফাদার ছিল শামীম ওসমান, তার লালিত সন্ত্রাসী ছিলো এই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের সাত খুনের ফাসিঁর প্রধান আসামি। সে অত্র এলাকায় নগ্ন নিত্য, জুয়া, মদ নেশা বিক্রি করে স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল। সেদিন যারা আওয়ামী লীগের নেতা ও শামীম ওসমানের দোসর ছিলো, আজ তারা নামাজ পড়ে, রোজা রাখে। কিন্তু এসময় তারাও নগ্ন নৃত্য দেখার জন্য এবং ভাগ বাটোয়ারা নেওয়ার জন্য বসে ছিল। এগুলোর প্রমান আছে আমাদের কাছে।

সাত খুনের যে প্রধান আসামির ভাই এবং তার ভাতিজা এখানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিল। কিভাবে নির্বাচিত হয়েছিল তা আপনারা জানেন। নির্বাচিত হয়ে কিভাবে লুটপাট করেছে, কিভাবে এলাকা অন্যায় অত্যাচার করেছে, মানুষের জায়গা জমি দখল করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, এগুলো সব আপনারা জানেন। আজকে তারা পলাতক। পলাতক কোথায় তাও আমরা জানি। তারা পলাতক থেকে ও সাত খুনের আসামি জেলখানা থেকে ফোনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ করে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করছে। তারা জণগনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এগুলো তরে তারা বিএনপিকে দোষারোপ করছে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ সভাপতি ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক এস এম আসলাম, থানার সহ সভাপতি রওশন আলী, যুবদলের সাবেক আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র নেতা শাহজালাল কালুসহ প্রমুখ।

RSS
Follow by Email