গরু থেকে এবার লাভ করার কোন চিন্তা করছি না: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শখ হিসেবে গরু-ছাগল পালন শুরু করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা সেলিম ওসমান। ধীরে ধীরে শখ থেকে এটি পরিনত হয় পেশায়। আর এই পেশা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করেন নানান সামাজিক কাজে। বৈশ্বিক মন্দার কথা চিন্তা করে এবার ভিন্ন কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছেন দানবীর খ্যাত এই নেতা।
এবার কোন রকম লাভ ছাড়াই কোরবানির ঈদে তার লালন-পালন করা গরু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেলিম ওসমান।
জানা গেছে, ফতুল্লায় নিজ মালিকানাধীন ফাইভ স্টার ফার্ম হাউজ লিঃ ও ফাইভ স্টার ফার্ম হাউজে এবার কোরবানির ঈদের জন্য শাহিওয়াল গরু ৪১ টি, পাকড়া ২৬ টি, গীড় ২০ টি, ফ্রিজিয়ান ৫টি, ব্রাহমা ৭টি, দেশী ১০টি, বুট্টি ৩টি, মহিষ ১৫ টি এবং গারল ১৪ টিসহ মোট ১৪১ টি গরু পালন করেছেন তিনি। লাভ ছাড়াই গরুর দাম কেজি প্রতি নির্ধারন করে দিয়েছেন সেলিম ওসমান। লাইভ ওজন অনুযায়ি ৩০০-৩৯৯ কেজি ওজনের পর্যন্ত পশুর দাম প্রতি কেজিতে পরবে ৪৮৫ টাকা, ৪০০-৪৯৯ কেজি পর্যন্ত পশুর দাম প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা, ও যদি পশুর ওজন ৫০০ -৬০০ কেজি বা এর বেশি হয় তাহলে এর দাম পড়বে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা। এছাড়াও গারল এর কেজি প্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
সেলিম ওসমান বলেন, আমার এখানে ১লাখ থেকে শুরু করে ৬লাখ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন জাতের গরু আছে। এই গরু থেকে এবার লাভ করার কোন চিন্তা করছি না। শুধু কস্টিং যেটা আছে সেই দামেই আমরা গরু বিক্রি করবো, সেভাবেই আমরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এবার এই গরুতে আমরা কোন লাভে যাবো না। লাভে গেলে মানুষের সাধ্যে কুলাবে না।
তিনি বলেন, এটা প্রখমে শখ ছিলো এখন আমার পেশা। এই পেশাটা আমি আমার ব্যাক্তিগত কাজে লাগাইনি কখনো। এটা দিয়ে আমি চেষ্টা করেছি সমাজে কিছু উন্নয়নের কাজ করার জন্য। এই টাকা দিয়ে আমি বেশ কয়েকটি স্কুল নির্মান করতে পেরেছি। গতবার একটি মাদ্রাসার কাজ শুরু করেছিলাম, যার কাজ প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। এবারের টাকাটা দেখি ভালো কোন কাজে লাগানো যায় কিনা।