গতবছর গুলিবিদ্ধ আরিফ এ বছরও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গত বছর বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে নগরীর ২ নং রেল গেইটে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল রূপগঞ্জের ছাত্রদল নেতা আরিফ।
হারাতে বসেছিলো নিজের মূল্যমান চোখ। এক বছর পর সেই প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর র্যালীতে আবারও একই স্থানে অংশ নিয়েছেন তিনি।
আরিফের মতোই নারায়ণগঞ্জের জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে শুক্রবার (১ লা সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নগরীর আলী আহমদ চুনকা পাঠাগারের সামনে জড়ো হয়েছে হাজারও নেতাকর্মী।
যার নেতৃত্বে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। খালেদা জিয়া দায়িত্ব বুঝে নেবার পর দুবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর সাড়ে চার দশকের মধ্যে গত এক যুগের বেশী সময় ধরে সবচেয়ে প্রতিকুল সময় পার করছে দলটি। বর্তমানে খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি রয়েছেন আর তার ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না।
দলটির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ব্যানারে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ র্যালিটির আয়োজন করে। এতে অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপির নেতাকর্মীরা। নগরীর ২ নং রেল গেইট হয়ে চাষাঢ়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান।
২০২২ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বাষির্কীর র্যালী পালনের সময় নগরীর ২ নং রেল গেইটে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওন প্রধান নিহত হন। আহত হন অনেকে।
সংঘর্ষের স্মৃতি স্মরণ করে সেই দিন গুলিবিদ্ধ রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা আরিফ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ র্যালীতে পালন করছিলাম কিন্তু পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর আক্রমন করে। তাদের আক্রমনে শাওন প্রধান, আমিসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়। শাওন সেদিনই মৃত্যুবরণ করেন। আমার চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। এখনও গুলিবিদ্ধ চোখ নিয়ে আমি খুবই অসুবিধায় আছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই স্বৈরাচারের পতন না ঘটবে, যতদিন পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হবে, যতদিন পর্যন্ত তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে না আসবে, ততদিন আমাদের প্রত্যেকের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই আমাদের শপদ।