বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Led02রাজনীতি

গণহারে গ্রেপ্তার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বাধা: তৈমুর

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘বিএনপি যারা করে, সকলেই আগুন জ্বালায় না। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি, যারা বিএনপি করে তারা ঘরে থাকতে পারে না। রূপগঞ্জে এমপি সাহেব যে লিস্ট দেন, সে অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়। মনোয়ার হোসেন শোখন, নুরুল হক চৌধুরী দিপু এদের অনেককেই গাড়ি জ্বালানোর সাথে জড়িত নন। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, যারা আগুন দেয় তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হন। যারা জড়িত না তাদের বাড়িতে ঘুমাতে দেন। গণহারে গ্রেপ্তার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে একথা বলেন।

তৈমুর আলম বলেন, মজলুম জননেতা হিসেবে আমাকে ডাকা হয়। এর চেয়ে আমার আর পাওয়ার কিছু নেই। দোয়া করবেন যাতে আমি মজলুমদের জন্যে কাজ করতে পারি। সকল ভয়-ভীতি, লোভ-লালসা সব কিছু হেফাজত করবেন আল্লাহ, আমি বিশ্বাস করি। আল্লাহ মজলুমদের পাশে থাকেন। মক্কার সাহাবীরা নিজের জান বাঁচাতে মক্কা নগরী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন, পরে মদীনাতে আসেন। সেখানে আল্লাহ তাদের অনেক সম্মানের অধিকারী করেন। বিএনপি আমাকে প্রয়োজন মনে করে নাই। আমাকে অত্যাচার করে, লাঞ্ছিত করে, নির্যাতিত করে দল থেকে বিতাড়িত করেছে। এরপর আল্লাহ আমাকে একটা দলের মহাসচিব হয়ে জনগনের পক্ষে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই জন্যে আমি আ্ল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তৈমুর বলেন, আপনারা আমার সুখ-দুখের সাথী। পুলিশ আমাকে গরুর মতো পিটিয়েছে, আমাকে গলা চেপে ধরেছে। গুলি খেয়ে আমি পরে রয়েছি। কোর্ট থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেছে। ২০০৫ সালে মাত্র পাঁচ ঘন্টা আগে দলীয় সিদ্ধান্তে আমাকে সড়ে যেতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ। এসব কিছু আপনারা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। মিছিল-মিটিং সবকিছু আপনারা করেছেন। এই জন্যে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে আমি চিরঋণী।

তিনি বলেন, আমি জীবনভর হেভিওয়েট প্রার্থীদের সাথে লড়েছি কারণ আমি মজলুমদের পাশে ছিলাম। আর মজলুমদের অত্যাচার করে, এই হেভিওয়েট মানুষেরাই। রূপগঞ্জের মানুষ সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত। রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের লোক ঘরে থাকতে পারে না, তাদের জমি-জমা দখল হয়ে গেছে। রূপগঞ্জ চালায় মন্ত্রীর পিএস-এপিএস। আমি কথা দিচ্ছি, আমি আগেও পিএস রাখি নাই, পরেও রাখবো না। আমি প্রত্যেকটা এলাকায় পঞ্চায়েত করবো। তারা সিদ্ধান্ত নেবে। আমার পরিবারের কোন লোককে রূপগঞ্জে শাসন করার সুযোগ দিব না।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কমিটমেন্ট দিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে তা নিশ্চিত করবেন। সংবিধানের ৪৮ ধারা অনুযায়ী, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী সমস্ত ক্ষমতার মালিক। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী তার কমিটমেন্ট রক্ষা করবেন। আর তা না হলে এর প্রধান ভিক্টিম হবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমাদের প্রত্যাশা এবারের নির্বাচনে মানুষ সুষ্ঠুভাবে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিতে পারবে।

নির্বাচন নিয়ে কতটুকু সাড়া পেয়েছেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফরম ছাপিয়ে ছিলাম ৪শ‘। তা শেষ হয়ে গেছে, আবার ছাপাতে দিয়েছি। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে বলেছি, আমি মহাজোটে যাব না। আমি আমার দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। আসি আমার দলের মার্কায় নির্বাচন করবো। জনগণ আমাকে নেতা বানিয়েছে। জনগণের ইচ্ছা আমি পূরণ করবো।

RSS
Follow by Email