ক্ষমতায় গেলে নারী কর্মীদের নিরাপত্তার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করব: জামায়াতে নেতা জব্বার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উত্তর থানা শাখা এক বিশাল সহযোগী সমাবেশের আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার।
সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা শাখার আমির মাওলানা মোস্থফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন ও সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ জামাল হোসাইন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল জব্বার মহান মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি ১৮৮৬ সালের শিকাগোর শ্রমিকদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, “আজকের এ দিনে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিলো। শোষণ ও নির্যাতন হতে মেহনতি মানুষের মুক্তি, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং সামাজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদ্ধ পরিকর।”
তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগরী কর্তৃক মেহনতি মানুষের জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, “জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় এলে এ সব মেহনতি মানুষের জন্য নারায়নগঞ্জে একটি হাসপাতাল করা হবে। যেখানে শুধেু শ্রমিক ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। নারী শ্রমীকদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে গার্মেন্স নারী কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে গার্মেন্স নারী কর্মীদের নিরাপত্তার তেমন সুব্যবস্থা নাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে এ সব নারী কর্মীদের নিরাপত্তার সুব্যবস্থ নিশ্চিত করব।”
বিগত সরকারের সমালোচনা করে মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, আপনারা জানেন বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় আমরা আপনাদের কাছে কোনো সামাজিক কাজ নিয়ে আসতে পারিনি। এমন কি মসজিদের ইমাম পর্যন্ত কথা বলতে পারে নাই। কিন্তু এখন সময় এসেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে। তাই দল মত নির্বিশেষে এক হয়ে দেশ ও জাতির জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। দেশ পুনর্গঠনে সকলকে এক্যবদ্ধ থেকে কাজ করে যেতে হবে।”
তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যতদিন থাকবে ততদিন মানুষকে কোরআনের দিকে, ইসলামের দিকে ডাকবে এবং ন্যায়ের পথে থাকার জন্য আহ্বান জানাবে। বর্তমানে যে আইন চালু আছে সে আইনে কোন মানুষের শান্তি নাই, সমাজে শান্তি নাই এমন কি পরিবারেও শান্তি নাই। বিগত সরকার দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলোকে ধংশ করে গেছে। শুধু দেশ নয় তারা পরিবারগুলোকেও ধংশ করে ফেলেছে। যুবকদেরকে মাদকাসক্ত করে যুব সমাজকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তাই দেশ সমাজ পরিবার এবং যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হলে কোরআন ও ইসলাম ছাড়া অন্য বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে।”
উক্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মজলিশে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাকি, থানা কর্মপরিষদ সদস্য কামরুজ্জামান রিংকু, থানা সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম রিপন, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, রমজান আলি খান, নাছির উল্লাহ প্রধান, নাছির উদ্দিন, রাকিব, ইব্রাহিম খলিল, সাইদুল হক, শহিদুল ইসলাম ও শাহনেওয়াজ দিপু প্রমুখ।