ক্রেতার চাপ নেই ঈদ পরবর্তী বাজারে, কমেছে সবজির দাম
#বাজারে ক্রেতা সমাগম অর্ধেক
লাইভ নারায়াণগঞ্জঃ ঈদের পরবর্তী সময়ে বাজারে ক্রেতাদের চাপ কম থাকায়, কমেছে সবজির দাম। এখন বাজারে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম কেজি প্রতি কমেছে ২০-৫০ টাকা। অপরদিকে মাংসের বাজারে এখনো স্বস্তি ফিরে আসেনি। বর্তমানে বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও, চওড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। বুধবার(১৭ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারে সরেজমিনে ঘুরে এরকম তথ্য পাওয়া যায়।
মাংসের বাজার ঘুরে জানা যায়, ঈদের আগে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখনো একই দাম বহাল রয়েছে বাজারে। এছাড়া খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায় এবং বকরি ও ভেড়ারর মাংস প্রতি কেজি ১০০০ টাকায়। অপরদিকে ঈদের পূর্বে মুরগি চওড়া দামে বিক্রি হলেও এখন কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। বাজারে ব্রয়লার প্রতি কেজি ২২৫ টাকা, কক ৩৪০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৫০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগি ৪০০ টাকা ও প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৪৩০ টাকা।
সবজির বাজার ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সবজির দাম কমেছে ২০-৫০ টাকা। এখন বাজারে আলু প্রতি কেজি ৪৬-৫০ টাকা, পেয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, সিম ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কহি ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, মরিচ ৫০ টাকা, উস্তা ৫০ টাকা ও লেবু ২০-৫০ হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
দ্বিগুবাবুর বাজারে মাংস বিক্রেতা রিপন জানান, ঈদের পরে বাজারে ক্রেতাদের চাপ কম আছে। গরুর মাংসের দাম এখনো কমেনি। বর্তমান বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি বিক্রেতা মাহাবুব হাসান জানান, এখন বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে, ঈদের পরবর্তীতে বাজারে ক্রেতা সমাগম তিন ভাগের এক। আজকে কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে।
দ্বিগুবাবুর বাজারে ক্রেতা আঃ মোতালিব জানান, ঈদের ছুটিতে আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে এসেছে। তাই, বাজারে মাংস কিনতে এসেছি। বাজারে এসে দেখি মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের মন গড়া দামে মাংস বিক্রি করছে। এদের বিরুদ্ধে প্রসাশন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেনো?
বাজারে আসা আরেক ক্রেতা আজিজুল হাকিম জানান, অনেকদিন পর বাজারে এসে স্বস্তি পাচ্ছি। এখন নানা ধরনের সবজি বাজারে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে, আমার কাছে পেয়াজ ও আলুর দাম বেশি মনে হচ্ছে।