রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Led02রাজনীতি

কোন দালালকে প্রশ্রয় দিবেন না, ওরা বিএনপিতে এখনও প্রতিষ্ঠিত হতে চায়: টিপু

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যদি ৭ই নভেম্বর জতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস না হতো তাহলে আজকেও আমরা আধিপত্যবাদের গোলামি করতাম। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেত কিনা সন্দেহ হয়। ৭ই নভেম্বর তারিখে সৈনিক ও জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জয়িাউর রহমানকে কারামুক্ত করে, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলার মদনপুরের দেওয়ানভাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।

সমাবেশে এড. টিপু বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব হয়েছিল। এ দিন না থাকলে আজকে জিএম কাদের আওয়ামীলীগের দালালি করতে পারতেন না। শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জনগণকে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ উপহার দিতে চেয়েছিলেন। উনি জনগণের জন্য ১৯ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বার বার এই ১৯ দফা কর্মসূচীতে বাঁধা সৃষ্ট করেছে। তার একটি উদাহরণ হলো এই বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাল নেই, খাল খনন করা হয়নি। গ্রীষ্মকালে আমরা পানি পাই না, বর্ষাকালে পথ-ঘাট বেসে যায়। মানুষ কৃষি কাজে উন্নয়ন করেত পারে না।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে বড় বড় অনেক রাজনীতিবিদ ছিলেন। সেময় পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কেউ ছিলেন না। সে দিন চট্টগ্রামের কালুর ঘাট থেকে একজন মেজর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস আপামর জনতা শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। সে দিন কোথায় ছিল শেখ মুজিব, আনু, তোফায়েল, রাজ্জাকরা। সে দিন কোথায় ছিল ওবায়দুল কাদের। পনের বছর বাংলাদেশের মানুষের উপর যে জুলুম-অত্যাচার করেছেন, তা কিয়ামত পর্যন্ত কেউ ভুলবে না। আপনারা বাংলাদেশের মানুষকে খুন, রাহাজানি, গুম, লুটরাজ, ব্যাংক ডাকাতি উপহার হিসেবে দিয়েছেন। শেষে আপনারা বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাসকে মুছে দিতে চেয়েছেন। আপনারা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার নাম মুছে ফেলেছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ষোলটি বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। সর্বশেষ, ৫ই আগস্ট তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের উৎখাত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনা, গডফাদাররা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের কিছু দালাল রয়ে গেছে। বন্দর উপজেলা কিছু দালাল আছে, যারা খুনি ওসমারদের দালালি করে বিএনপির নামকে কলঙ্কিত করেছে। তারা বিএনপির নাম বিক্রি করে দুই দুই বার উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছে, এরপর দলের সাথে বেইমানি করেছে। তারা বাপ-দাদার নাম বিক্রি করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এই বন্দর উপজেলায় মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও হারুন অর রশীদ লিটনের নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত আছে এবং আগামীতেও থাকবে। কোন দালালকে আপনারা প্রশ্রয় দিবেন না।

RSS
Follow by Email