বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Led01রাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ

কেউ বেশি লাফাইবেন না, অপরাধ করলে সাইজ করে দেওয়া হবে: গিয়াসউদ্দিন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আন্দোলনে ছাত্ররা যখন ভুমিকা রাখলো, তারেক রহমান বলেছিলেন এই আন্দোলনকে বিএনপিকে অবশ্যই রাজপথে থাকতে হবে। তখন আমরাও শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে আমরাও এই আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে। এছাড়া এই স্বৈরশাসকের আমলে এত গুম-খুন ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে; যে আমাদের অস্বিত্ব বিলিন হয়ে গেছে। তার পরেও আমরা তাদের রক্তচক্ষুকে ভয় করিনি। আন্দোলনের শেষ পর্যন্ত আমরা রাজপথে ছিলাম, আমাদের উপর গুলি করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ-লুটপাট স্বৈরাচারের লোকেরা করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেয় নাই। অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে দিন ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এসময় গিয়াসউদ্দিন বলেন, ইতিহাস পড়লে জানতে পারবেন এমন স্বৈরাচারের এমন পতন, ইতিহাসে কেউ দেখে নাই। এই পতনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নতুন ভাবে স্বাধীন হয়েছে। তবে এখনো খুশি হওয়ার সময় হয় নাই। স্বৈরাচারেরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান অত্যন্ত বিচক্ষণ, তাই তিনি তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ১৪ ১৫ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। স্বৈরাচার সে শুধু নিজের কারণে হয় নাই। তার দলের নেতারা তাকে স্বৈরাচার বানিয়েছে, অনেক সাংবাদিক নিজের স্বার্থ নিয়ে তাদের স্বৈরাচার বানিয়েছে, অনেক ব্যবসায়ী নিজের স্বার্থ নিয়ে তাদের স্বৈরাচার বানিয়েছে, আইন বিভাগের অনেকে তাদের থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের স্বৈরাচার বানিয়েছে। আমরা দাবি করবো এদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী। আন্দোলন সারা দেশে হয়েছে, কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মতো এত কঠিন আন্দোলন আর কোথাও হয়নি। এটা একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। এই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। নারায়ণগঞ্জে স্বৈরাচারের দোসর তার বাহিনী এমনকি তার সন্তানকে নিয়ে নিরস্ত্র মানুষের উপার গুলি চালিয়েছে। যেখানে যেখানে অগ্নি সংযোগ হয়েছে, সেটা তার নির্দেশে হয়েছে। এখন এদেরকে কোন অবস্থায় ছাড়া যাবে না। আমরা আইনকে হাতে তুলে নিবো না, আমরা তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিবো। বিএনপির কাধে এখন অনেক বড় বোঝা। এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। বিএনপির কাছে মানুষের অনেক প্রত্যাশা।

সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে গিয়াসউদ্দিন বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে ছিলো এই দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এমন কোন অপকর্ম নাই যেটা তারা করেনি। আয়নাঘর থেকে শুরু করে পুলিশ র‌্যব, সব কিছু তাদের দখলে ছিলো। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিতো, এলাকা থেকে যাতে আমরা চলে যেতে বাধ্য হই সেই ব্যবস্থা করতো। এমনকি টাকার জরন্য তারা মাদকের ব্যবসা সম্প্রসারিত করে সেখান থেকে টাকা নিয়েছে। আবার মুখে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছে। আমরা আইন হাতে নিবো না, আবার কাউকে রেহাইও করবো না। আমরা আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবো। আজ তারা কোথায়? পালিয়েছে। তাদের নেত্রী যেমন পালিয়েছে, তারাও পালিয়েছে। বোরকা পরিহিত অবস্থায় তারা পালিয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কেউ কোন লোভে পরে তাদের সঙ্গ দিবেন না। দিলে কিন্তু আমার কাছে ঠিকই রিপোর্ট আসবে। ইতিমধ্যে অনেক খবর আমাদের কাছে আসছে। এখন আপনারা মিলাদ করবেন, মিছিল করবেন; কর্মটা করছেন কি স্বাধীন হওয়ার পরে? বেশি বাড়বেন না। আমি তো এখন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এখন সভাপতি। বেশি কেউ লাফাইবেন না। অপরাধ করলে, সাইজ করে দেওয়া হবে। কোন কুর্নিশ করা হবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, এনসিসি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাদারণ সম্পাদব এড. বারী ভুইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।

RSS
Follow by Email