শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Led01রাজনীতি

কুমুদিনীবাসীকে সাকি, ‘এলাকায় ফিরে যান, দখলদারদের উচ্ছেদ করেন’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এখানে কুমুদিনির জায়গায় অনেক দিন ধরে কিছু লোক বসবাস করত। কিন্তু কথিত সরকারের দোসররা, জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা কোন পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করেনি। আমি আপনাদের বলতে চাই যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার আপনাদের পূর্ণবাসন করছেন আপনারা আপনাদের এলাকায় ফিরে যান। সেখানের দখলদারদের উচ্ছেদ করেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক গণসংলাপের আয়োজন করেছে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটি। এসময় গণসংলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

এসময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার অনেক কিছু রূপান্তর পরিবর্তন এবং নতুন বন্দোবস্ত করছেন। কিন্তু আমরা এবং জনগণেরা আরো দ্রুত এবং কার্যকারী পদক্ষেপ দেখতে চাই। দেশের প্রশাসন এখনো পতিত ফ্যাসিস্টদের কলেজ। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ কেন কাজ করছে না এটার পেছনে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। জনগণের টাকায় যে বাহিনী বেতন পাবে কিন্তু জনগণ নিরাপত্তায় কাজ করবে না এভাবে চলতে পারে না। আমরা দেখেছি গার্মেন্টস শ্রমিকরা বারবার আন্দোলনের নামছে। তাদের যৌক্তিক দাবি গুলো টিফিন নিয়ে বোনাস নিয়ে এবং বেতন বৃদ্ধি নিয়ে। যেভাবে বাঁচার দরজা সেই হিসেবে তাদের বেতন গুলো পূর্ণ মূল্যায়ন করার একটি ব্যাপার আছে। আমরা গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি সমর্থন করি। তবে গার্মেন্টস খাত এমন একটি খাত এটা যদি দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখেন তাহলে এটা টিকবে না। আপনারা দাবি তোলেন আপনাদের দাবি আদায়ের শ্রমিক নেতা এবং আমরা সবসময় সাথে আছি তবে কারখানা যেন চালু থাকে। আপনার কারখানা যদি বন্ধ হয়ে যায় পুরো শিল্প চলে যাবে সাথে আপনার চাকরিও চলে যাবে। এখন ভারত পাকিস্তান আরব দেশ আমাদের থেকে গার্মেন্টস শিল্পটাকে কেড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছে। কারো ষড়যন্ত্রকে সফল করতে দেয়া যাবে না।

প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষ কেন সফল হয়েছে? কারণ তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল। ওই ঐক্যবদ্ধতা ভেঙে দেন তাহলে দেখবেন আবার আগের মত হয়ে গেছে। এখনই অনেকে মাথা ছাড়া দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদের আবার আসে এমন যদি না চান তাহলে আপনাদের জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে সত্যিই জনমানবের স্বার্থ থাকে সেই রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। যে শক্তি জনগণের সার্থক কথা বলবে সেই শক্তির শক্তি বৃদ্ধি করলেই জনগণের স্বার্থ রক্ষা জন্য জরুরী। গণতন্ত্র একটি সার্বক্ষণিক চর্চা সুরক্ষা এবং পাহারা দেওয়ার ব্যাপার। সেই জায়গায় জনগণকে পাহারাদার হিসেবে থাকতে হবে। এবং সেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকবে একটি দল। আমরা বলি গণসংখ্যা আন্দোলন বাংলাদেশের জনমানবের গণস্বার্থে কথা বলে। আমরা সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি, আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। আমাদের যে তরুণ ছাত্ররা ও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারও বলছে এদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। সেই বন্দোবস্ত হলো গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত। এই বন্দোবস্তের থাকবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি নাগরিক। এরপর সে হিন্দু মুসলমান বৈধ না খ্রিস্টান সেটা রাষ্ট্র দেখবে না।

RSS
Follow by Email