সোমবার, মে ২৬, ২০২৫
Led02অর্থনীতি

কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজি অব্যাহত থাকলে লেবার সংকট দেখা দেবে: সোহেল সারোয়ার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন ঈদুল আযহার আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদানে নতুন জটিলতায় পড়েছে নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস শিল্প। বিশেষ করে প্রিমিয়ার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে ২৯টি কারখানা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে বলে জানিয়েছেন, বিকেএমইএ’র সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল।

রবিবার (২৩ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে, গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন এবং নির্দিষ্ট সময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত একটি যৌথ সভা শেষে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বিকেএমইএ’র  সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, ঈদের আগে যেসব ফ্যাক্টিরী গুলোতে বেতন বোনাস দিতে সমস্যা হতে পারে। সেসব সমস্যা গুলো নিয়ে আমরা প্রতি ঈদের আগে বসি। যাতে করে কোন ধরণের সমস্যা ঈদের আগে না হয়। ঈদের আগেই যাতে সমাধান হয়ে যায় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। এবার ২৯টি কারখানা প্রিমিয়ার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। তারা কিভাবে বেতন বোনাস দিবে এটা নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত। এছাড়া তারা সরকারির ছুটি ন্যায় ছুটি চাইছে ১০দিন। এখন গার্মেন্টেসে যে ছুটি সেটা তো কলকারখানার সাথে মিলালে হবে না। কলকাখার ছুটি বছরের শুরুতে দিয়ে দিতে হয়। আমাদের ১১ দিনের ছুটি কিভাবে দিবো সেটা বছরের শুরুতে দিয়ে থাকি। ঈদের ছুটি গুলো শুক্রবারের ছুটির সাথে মিলিয়ে দেই।

তিনি আরও বলেন, মানুষদের জানতে হবে আমাদের কলকারখানার ছুটি আর সরকারি ছুটি এক না। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে যে পরিমানে যানজট বেড়েছে, এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের শিপমেন্ট করতে, আমাদের মালামাল সূতা আনতে পাঠাতে অসুবিধা হচ্ছে। এতে আমরা টাইমিং মিলাতে পারছি না। এতে শুধু আমরা না পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের শিপমেন্ট যদি দেড়িতে হয় তাহলে আমাদের বায়ারদের কাছে ডিসকাউন্ট গুনতে হয়। নয়তো তাদের এয়ারে মাল পাঠাতে হয়। এতে আমাদের চালান অনেকটাই ঘাটতি হয়ে যায়। যাদের বাধ্য হয়ে এয়ারে মাল দিতে হয়, তাদের লস হবেই। আর এটা শুধু মালিকের লস না, এটা দেশেরও লস হচ্ছে। এরপরও যদিও সময় আরও বেশী লাগে তাহলে আমাদের বায়াররা সব ক্যান্সেল করে দেয়। একটা গার্মেন্টস যদি লট মিস হয় তাহলে সে ফ্যাক্টিরী ঘুরে দাঁড়ানোর মতো সক্ষমতা তৈরী করতে পারে না।

মোরশেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, সাম্প্রতী সময়ে রাস্তায় কিশোর গ্যাঙ, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি অনেকটা বেড়ে গেছে। এখানে প্রশাসন চেষ্টা করছে, কিন্তু চেষ্টা করলেও আমরা ফলাফল সেভাবে পাচ্ছি না। তাই আমাদের সেলারী দেয়ার সময় অনেক কেয়ারফুল থাকতে হয়। আমরা বিকেএমইএ এইটা নিয়ে অনেক উদ্বিগ্ন, এটা যদি চলমান থাকে তাহলে আমাদের অনেক লেবার সংকট দেখা দিবে। তাছাড়া জুটের বিষয়ে তো দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসতেছে, এখানে আমরা মালিক ও প্রশাসন যদি এক থাকি এবং সবাই যদি সম্মিলিত হয়ে কাজ করি। তাহলে এই সমস্যা আমাদের দেশে থাকবে না। যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা সবাই যদি একটু ভালো করার চেষ্টা করি, তাহলে বিশ্ব দরবারে আমাদের দেশ একটা ভালো অবস্থানে পৌছে যাবে। ইনশাআল্লাহ আমরা খুব ভালো একটা সময় ভবিষ্যতে পার করবো।

RSS
Follow by Email