সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Led05ফতুল্লা

কিশোর ইমনকে হত্যা করে ৯ টুকরা লাশ, এগারো বছর পর ৩জন গ্রেপ্তার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দীর্ঘদিন যাবত আত্মগোপনে থাকা হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। রবিবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ফতুল্লা চররাধা নগর এলাকার মৃত আ. সামাদের ছেলে আহম্মদ আলী (৬৬), আহম্মদ আলীর ছেলে সেন্টু মিয়া (৩৬) ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত হোসনা বেগম (৫৮)। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১১ উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনা সূত্র ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ জুন মো. ইমন হোসেন (১৪) তার দাদার সাথে নিজ বাড়িতে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। রাত্র অনুমান সাড়ে ৮টায় এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা ভিকটিমকে কৌশলে ঘর থেকে ডেকে বাহিরে নিয়ে যান। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ভিকটিমের পিতা পরের দিন হতে আশ-পাশের এলাকাতে অনেক খোঁজাখুজির পরও ভিকটিমকে খুঁজে পায়নি। পরে ২২ জুন দুপুর দেড়টায় ভিকটিমের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম পাশে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে ভিকটিম ইমন’র ৯ টুকরা খন্ড বিখন্ড গলিত লাশ পাওয়া যায়।

র‌্যব জানায়, আসামীদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কলহ চলছিলো। ভিকটিমের পরিবারের সাথে ঘটনার আনুমানিক দেড় বছর পূর্বে পারিবারিক কলহের জের ধরে আসামীদের সাথে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে মারামারি হয়। মারামারিতে আসামি আহম্মদ আলী আঘাত প্রাপ্ত হন। এই বিষয়টি শালিস এর মাধ্যমে মিমাংসা হলেও আসামীদের ভিকটিমের পরিবারের উপর আক্রোশ থেকে যায়। এই শত্রুতার জের ধরে আসামীরা মো. ইমন হোসেনকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরা করে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

র‌্যাব আরও জানায়, পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা লোক মারফাত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের লাশ সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত ইমনের পিতা বাদি হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার/পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ২০ মার্চ ওই মামলায় দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম ছাবিনা ইয়াছমিন স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলার চারজনের মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষনা করেন। একই সঙ্গে এই মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। পরে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারী সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানা ইস্যু হলে র‌্যাব-১১ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

RSS
Follow by Email