শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Led01জেলাজুড়েসদর

কারফিউ শিথিলে কর্মব্যস্ত নগরী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: চলমান কারফিউর শিথিল সময়ে কর্মব্যস্ত হয়ে পরেছে নগরী। শহরের প্রধান সড়কগুলো আবারও ফিরেছে সেই চিরোচেনা রুপে। কর্মজীবিরা ছুটছেন অফিস-আদালতে, অলিগলিসহ প্রধাণ সড়কে খুলেছে দোকানপাট ও ফুটপাতে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে কারফিউ শিথিল থাকলেও নগরীর বিভিন্ন মোড় ও সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিল বিগত কয়েক দিনের মতোই।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নগরীর চাষাঢ়া, ২নং রেল গেইট, কালিরবাজারসহ আশেপাশের এলাকায় দেখা যায় এমন চিত্র। সড়কে চলাচল করছে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। নগরী থেকে ঢাকাসহ অন্য জেলার উপজেলার উদ্দেশেও ছেড়ে গেছে যাত্রীবাহী বাস। কারফিউ শিথিলে ব্যাংক গুলোতেও ছিল গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। নগরীর দীগুবাবুর বাজারসহ অন্যান্য কাচা বাজারগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এসময় আবেদ আলী নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে রিকশা নিয়ে তেমন বের হইতে পারি নাই। এরমধ্যেই টাকা-পয়সা ধার করে চাল-ডাল কিনতে হইছে। সকাল থেকেই রিকশা চালাতেছি। এখন যত বেশি সম্ভব যাত্রী নিয়ে যাওয়া যায় ততোই আমার জন্য ভালা।”

সায়মন আলম নামে একজন চাকুরীজীবি জানান, ‘হাতে থাকা টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। সামান্য অফিস থেকে বাসায় আসতে গেলে অর্ধেক রাস্তা হেটে আর বাকি অর্ধেক বাসে করে আসতে হয়। তাই ব্যাংকে এসেছি কিছু টাকা তুলতে। এখানেও আমার মতো মানুষদের ভীর। কম বেশি সবাই এসেছে টাকা তুলতে। কারফিউর এই সময় যদি ব্যাংক না খোলা হতো তাহলে বিপদে পড়তে হতো। ঘরে কাচা বাজার নেই। সকালে বাজারের গিয়েছিলাম, কারফিউর অজুহাতে সবকিছুর দাম বেশি। এই আন্দোলনের মাঝে যে হামলা-ভাংচুর হলো এই পরিস্থিতি ঠিক হতে কত দিন লাগে কে জানে। ’

ফুটপাতে এক হাজি পেয়ারা নিয়ে বসেছেন বৃদ্ধ বাসারউদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের দিনের কামাই দিনে খেতে হয়। গত কয়েকদিন ঠিকমতো কোনো আয় নেই। খাওয়া হয়েছে আধা বেলা কি একবেলা। যখনই একটু সুযোগ পাই আমার তো বেচা-কিনি করতে হইবো। বেচা-কিনি হইলে বাসায় চাল-ডাল যাইবো।

RSS
Follow by Email