বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫
Led02ধর্মসদর

কাপুরুষ-অসুস্থ মানসিকতার লোক বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে: র‍্যাব ডিজি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সারাদেশের প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপের মধ্যে ৪৯টিতে কিছু দুষ্কৃতকারী বিচ্ছিন্নভাবে নাশকতার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-এর মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহীদুর রহমান। তবে এসব প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করে ১৯ জনেরও বেশি নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংকালে র‍্যাব ডিজি এই তথ্য জানান।

অল্প কিছু “বিচ্ছিন্ন ঘটনা” ছাড়া এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব ভালোভাবেই হচ্ছে মন্তব্য করে র‍্যাব ডিজি বলেন, “এই পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মণ্ডপের মধ্যে ৪৯টি মণ্ডপে কিছু নাশকতাকারী, কিছু কাপুরুষ ও অসুস্থ মন মানসিকতার কিছু লোক বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা সে বিষয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং এই পর্যন্ত ১৯ জনেরও বেশি নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।” যারা বাধা দেয় ও বিঘ্ন ঘটায় তারা আইন ভঙ্গ করে, এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

একেএম শহীদুর রহমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ। এদেশ সকল ধর্মের লোকের, এদেশ নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের লোকের জন্য নয়। আমাদের এই ১৮ কোটি মানুষের দেশ এটি। এদেশে যে ধর্ম-বর্ণেরই হোন না কেন, আমরা সবাই সমান অধিকার নিয়ে প্রতিটি ধর্মের অনুষ্ঠানগুলো পালন করব এবং একে-অপরের সহায়তা করব।”

তিনি জানান, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই দুর্গাপূজা সফলভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে, যার সমাপ্তি ঘটবে বিজয়া দশমীর মাধ্যমে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে আরও ভালোভাবে উৎসবগুলো পালন করতে সক্ষম হবেন এবং দুষ্কৃতকারীদের কোনোভাবেই স্থান দেওয়া হবে না।

র‌্যাব-এর এই শীর্ষ কর্মকর্তা ভবিষ্যতে দেশের উৎসব পালনের বিষয়ে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা জানান। তিনি বলেন, “তবে সব থেকে ভালো হতো যদি এই পূজা, মুসলিমদের ঈদ জামাত ও খ্রিস্টানদের বড়দিনের অনুষ্ঠানগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছাড়া করতে পারতাম। সেদিন হবে প্রকৃত আনন্দ।” তিনি অদূর ভবিষ্যতে সবধরনের উৎসব কোনো প্রকার নিরাপত্তা পাহারা ছাড়াই পালনের প্রত্যাশার কথাও জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এসএম সাজ্জাদ হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন প্রমুখ।

RSS
Follow by Email