কাঞ্চন পৌর নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতি, ভাংচুর
# মেয়র প্রার্থী বাদশার বিরুদ্ধে মাতলামির অভিযোগ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ নিতে এসে মেয়র প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতি এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমাবর (১০জুন) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ ঘটনায় প্রতিক বরাদ্দ নির্ধারিত সময়ের ১ঘন্টা পরে শুরু হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতীক বরাদ্দের জন্য রফিকুল ইসলাম তার সমর্থনকারীদের নিয়ে অডিটোরিয়ামের আসেন। কিছুটা দেরি করে সেখানে আসেন আরেকজন প্রার্থী বাদশা, যিনি এমপি পুত্র পাপ্পা গাজীর অনুসারী ও সমর্থীত হিসেবে পরিচিত। বাদশা অডিটোরিয়ামে এসেই মাতলামি এবং মেয়র রফিককে গালাগাল শুরু করেন। প্রার্থী বাদশা উত্তেজিত হয়ে মেয়র রফিক কেন সামনের চেয়ারে বসে আছেন সেটা জানতে চান এবং তাকে পেছনের চেয়ারে গিয়ে বসতে বলেন। মেয়র রফিক তখন বাদশাকে শান্ত করতে চাইলে বাদশা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারার জন্য তেড়ে উঠেন। এরপর-পরই দুপক্ষের সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন মিলনায়নের ভেতরে একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। দরজা ভাংচুর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এক ঘন্টা পর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তিনি তার সমর্থনকারী ও প্রস্তাবকারীসহ সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মুখে চেয়ারে বসেন। কিছুক্ষন পর বাদশাসহ তার লোকজন শ্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ করে আমার লোকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
অপর মেয়র প্রার্থী বাদশা গণমাধ্যমকে জানান, ভিতরে সামনের চেয়ারে মেয়র প্রার্থীরা বসবে, কিন্তু সেখানে অন্য লোক বসায় কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে। পরে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজাল্লি ইসলাম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে কি নিয়ে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় সেটা জানা নেই। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর আমরা আমাদের প্রতিক বরাদ্দের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।’
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা জানান, ‘প্রতীক বরাদ্দের সময় লোকজন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। আমরা পরে তাদের শান্ত করি। তবে নির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’