কাউন্সিলর পদে ইলেকশনে এসেছে, সিলেকশনে নয়: সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফফর বলেন, আমার ওয়ার্ডের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার সংস্কারসহ অনেক কাজগুলো বাকি। অনেক জায়গা দেখা যাচ্ছে রাস্তার লাইট জ্বলে না, সড়কে খানা-খন্দ হয়ে রয়েছে, চুরি-ডাকাতি বাড়ছে। যেটা হয়তো কাউন্সিলর থাকাকালীন সময় কমানো যেত। আমার মত সকল কাউন্সিলরদের পূর্ণবহাল করা উচিত। একজন কাউন্সিলর তার চেয়ারে বসলে আসলে কোন দলের থাকে না। এনসিসির কাউন্সিলররা তো ইলেকশনে এসেছে, সিলেকশনে করে আসে নি।
বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাউন্সিলরদের পূর্নবহল প্রসঙ্গে লাইভ নারায়ণগঞ্জকে দেয়া এ বক্তব্য এ কথা বলেন সাবেক নারী কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফফর।
এসময় তিনি আরও বলেন, একটা মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যত ধরনের সার্টিফিকেট বা সনদ দরকার, কম বেশি সবগুলোতে কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর লাগে। সিটি কর্পোরেশনের গঠন করার সময় ২০১১ সাল থেকে আমি কাউন্সিলর এর দায়িত্বে ছিলাম। প্রথম থেকেই জনগণের সেবা আমি সর্বদা থেকেছি। কিন্তু কাউন্সিলর পরিবর্তে এখন যে কর্মকর্তারা দায়িত্ব নিয়েছেন তারা সেবা দিতে পারছেন না। পরিচয়পত্রের জন্য বা প্রত্যয়নপত্রের ফরমের জন্য সাধারণত ১০ টাকা একটা ফি লাগে। আমরা অনেক কাউন্সিলররাই সেই ফি টা নেই না। কিন্তু এখন যে অফিসাররা দায়িত্বে আছেন তাদের কাছ থেকে এ ধরনের সনদ নিতে জনসাধারণের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সেখানে আসা যাওয়ার খরচ তো লাগছে তাছাড়া ভোগান্তিও বেড়েছে। জায়গা সম্পত্তির ক্ষেত্রে যে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, সেটা তারা দিতে পারছে না বা পারবে না। কারণ আমরা কাউন্সিলররা আমাদের এলাকাবাসীর জনগণকে শুরু থেকে চিনি। কে কেমন, কে কার পুত্র সকলের সম্বন্ধে আমার ধারণা আছে। কিন্তু একজন কর্মকর্তা সে তো হুট করেই কে কার সন্তান, কে কার ওয়ারিশ সেটা শনাক্ত করতে পারবে না।