শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Led04অর্থনীতিগণমাধ্যমজেলাজুড়েফতুল্লাসোশ্যাল মিডিয়া

কর্মী-মালিকের সম্পর্কের সমস্যায় খেয়াল রাখতে হবে: মানবাধিকার চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান অর্থনীতির মেরুদন্ড। এ প্রতিষ্ঠানের কারণে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যায়। তৈরি পোশাক শিল্প থেকে আমরা যতটুকু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পেরেছি তার প্রতিদ্বন্দী আর কোন সেক্টরের থেকে এত পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়নি। তাই আমাদের সবসময় এই খাতকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় কথা উঠেছে যে আমাদের এই সেক্টরটা যথাযথভাবে কাজ করছে কিনা। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিক উভয়ের কাজ করার মাধ্যমে কোন একটি কার্যসম্পাদন করা হয়। কিন্তু যেখানে মালিক শ্রমিকের সম্পর্ক ঠিক না থাকে সেখানে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যদি উভয় পক্ষই সম্পর্ক ঠিক থাকে তাহলে একটি প্রতিষ্ঠানের লাভবান করা সম্ভব।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, জীবনমাত্রার মান, কর্ম পরিবেশ ও তাদের অধিকার সঠিক ভাবে পাচ্ছে কিনা স্বচক্ষে দেখতে, নারায়ণগঞ্জে ৪টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা পরিদর্শন শেষে, সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং করে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পূর্বেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অশান্তি ছিল যার কারণে দীর্ঘ সময়ের পর ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিকগুলো উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিতে হয়েছে। আর এই উদ্যোগ গুলোর ফলস্বরূপ একদিকে মালিক শ্রমিকের সম্পর্ক সুন্দর হয়েছে অন্য থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে অনেকেই আমাদের উপর প্রশ্ন তুলে থাকেন, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো কমপ্লায়েন্স (সম্মতি) হচ্ছে কিনা। বাইরের দেশ থেকে অনেকে এসেছেন পর্যবেক্ষনের জন্য। অনেকেই বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন। এটা ঠিক যে, এদেশের শিল্প যখন নতুন শুরু হয়েছিল তখন এদেশের কমপ্লায়েন্স সঠিক ছিল না। কিন্তু এখন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এখন অনেক প্রতিষ্ঠানে আছে যারা কৌশলগতভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত এবং গঠন করে নিচ্ছে। যেখানে আমাদের দেশ বিশ্বে এই সকল সেক্টরগুলোতে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে সেখানে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালিক শ্রমিক সম্পর্কটা গড়ে তোলার জন্য বিশেষ নজর দিতে হবে।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিষ্ঠান একটি মালিকের তুলনায় শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখতে হবে। তাদের পরিবেশ, তাদের ক্ষমতায়ন এবং তারা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারছে কিনা সে জিনিসটা আমাদের দেখা একান্ত জরুরি। প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন ধরনের কর্মী-মালিকের সম্পর্কে সমস্যা আছে কিনা বা শ্রমিকদের কোনভাবে হয়রানি হতে হয় কিনা, সে জিনিসটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আলোচনা সাপেক্ষে আমরা যে নতুন মজুরি শ্রমিকদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের সব জায়গায় চলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান তার আগের মজুরি দিচ্ছে, এ বিষয়ে অনেক শ্রমিকরাই প্রশ্ন তুলেছেন। মূল কথা হচ্ছে শ্রমিকদের কল্যাণকর বিষয়গুলোকে নজরে রেখে তারা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে পারে এবং অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারে সেই দিনটা খেয়াল রাখতে হবে। ফতুল্লার বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমরা পরিদর্শন করেছি। আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি যে শ্রমিকরা বাস্তবে সন্তুষ্ট নাকি অসন্তুষ্ট।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, ডিরেক্টর আশিকুল, উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নাঈম চৌধুরী, সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

RSS
Follow by Email