কমরেড রফিক খানের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কমরেড রফিক খানের স্মরণে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার (১০ জুন) বিকেল ৫টায় ২ নং রেলগেইটস্থ বাসদ মিলনায়তনে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলার সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু হাসান টিপু, জেলার সভাপতি শহীদুল ইসলাম নান্নু, গার্মেন্টম শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অঞ্জন দাস, বিপ্লবী গামেন্টস শ্রমিক সংহতির জেলার নেতা নাসির হোসেন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, সাবেক শ্রমিক নেতা হানিফুল কবির, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কাদির, রফিক খানের কন্যা নাদিরা, সাদিয়া রহমান নিনা।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। ফলে শ্রমিকরা তাদের খাদ্য তালিকা খাবার কমিয়ে, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা বন্ধ করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ৮৯ ভাগ শ্রমিক অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। দেশে জাতীয় নিম্নতম মজুরি কোন আইন নেই। শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি রেশন প্রদানের। কিন্তু জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনায় শ্রমিককের রেশনের বিষয়ে কোন কথা নাই। বর্তমান সংকট মোকাবিলা করে উৎপাদনকে চালিয়ে নিতে শ্রমিকদের আর্মি রেটে রেশন দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমিকরা তার অধিকারের কথা বললেই মালিকরা শ্রম আইন ও বিধির শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী আইন ব্যবহার করে শ্রমিক ছাঁটাই করে, দেয়
মিথ্যা মামলা, করে প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। এ সময়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই শ্রমিকের অধিকার আদায়ের একমাত্র পথ। এক্ষেত্রে রফিক খানের সংগ্রামের শিক্ষা শ্রমিকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। রফিক খান ২০০১ সালের ৫ জুন মাদারীপুরে দুবৃর্ত্তের হাতে খুন হন। আজও তার হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। রফিক খান সারাজীবন সততা নিষ্ঠার সাথে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করে গেছেন এবং আমৃত্যু সমাজতন্ত্রের প্রতি অবিচল থেকে বাম রাজনীতির নেতৃত্ব করেছেন।
নেতৃবৃন্দ ঈদের আগে শ্রমিকের চলতি বেতন, পূর্ণ বোনাস ও সমস্ত বকেয়া পরিশোধ, আইন এবং বিধিমালার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমুহ বাতিল করে
গনতান্ত্রিক শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবি করেন।