কদম রসুল সেতু: কাজ শুরুর আগে ব্যয় বাড়লো শত কোটি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ২০১৮ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয় আর শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে। কিন্তু ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এসেও কাজ শুরু হয়নি।
এ অবস্থা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ‘কদম রসুল সেতু’র কাজের অগ্রগতির। সেতুটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকার লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি শত কোটি টাকা বেড়েছে প্রকল্পের ব্যয়।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় আসন সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত। প্রায় ১০ লাখ লোকের বসবাস শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে। প্রতিদিন কয়েক লাখ বন্দরবাসীকে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই খেয়া পারাপার হয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে আসতে হচ্ছে। মূল শহরের সঙ্গে বন্দর এলাকাকে সংযুক্ত করতে ‘কদম রসুল সেতু’ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পটিতে সম্পূর্ণ অর্থায়ন সরকারের। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে, বাস্তবায়নে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরের চারটি মৌজার ১ একর জমি। চাষাড়া ও খানপুর মৌজার ২০ শতাংশ কুমুদিনি ও রাস্তা রয়েছে। বন্দরের গাঙ্গাকুল মৌজার প্রস্তাবিত ৩৪ শতাংশ জমিতে খাদ্য গোডাউন আর একরামপুর মৌজায় রয়েছে ১টি ৬ তলা ভবন, কয়েকটি ৩ তলাসহ, ৮-৯টি ২ তলা ভবন ও ৩০-৪০টি কাচা-পাকা, সেমি পাকা ১ তলা ঘর।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ১১ সেপ্টেম্বর বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সেতুটি করতে গিয়ে আমার বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রথমে বাঁধা দেয় কুমুদিনি। সেখানে ব্রীজ করলে তাদের সমস্যা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রী বারাবরও চিঠি দিয়েছে তাঁরা। পরে সেই সমস্যাটি সমাধান হলে আবার বাঁধা আসে রেলওয়ে থেকে। পরে অনেক কষ্টে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে সেই সমস্যাটিও সমাধান হয়। তারপরে আবার বাঁধা দিলো খাদ্য মন্ত্রণালয়। ব্রীজের একটি পিলার তাদের জমির উপর পরবে। তাই অন্যত্র একটি গোডাউনের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে সমস্যাটিও সমাধান করা হয়েছে।’
২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রথম বারের মতো প্রকল্পটি পাস হয়। তখন ১৬০ কোটি টাকা জমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহসহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫৯০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর একনেকের সভায় প্রকল্পটির ব্যয় বাড়িয়ে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমতি দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর গুদারাঘাটের নিকট শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর কদমরসুল ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদনের কথা জানান।