ওসমান পরিবারের লুটপাটে কাজল সাহায্য করেছে: রফিউর রাব্বি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ:সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী, যদি ভূমি অধিগ্রহণ করার পর তা ব্যবহৃত করা না হয়, তাহলে সেই জমি কোনো ভাবেই বিক্রি বা হস্তান্তর করে যাবে না বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু তারা এই আইন মেনে নিই। রাতারাতি এই জমি হাত বদল হয়ে কাজল, নূপুরের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। কে এই কাজল? এই কাজলের বাবা রাজাকার ছিল। ১৯৭১ সালে যে শান্তি কমিটি গঠন করা হয় সেখানে সভাপতি ছিল কাজলের বাবা। ওসমান পরিবারের অনেক লুটপাট করার জন্য কাজল সাহায্য করেছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজউকের ভূমি বিক্রির প্রতিবাদে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত শহরের বালুর মাঠ এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে নাগরিক কমিটি। অবস্থান কর্মসূটিতে এক বক্তব্য এ কথা বলেন রফিউর রাব্বি।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের সমস্যার শেষ নেই, কিন্তু বহু সময় ধরেই আমরা এই বিষয়ে আন্দোলন করে আসছি। একটা দুর্বৃত্ত শক্তি আমাদের দেশের ওপর চেপে বসেছিলো। আমরা এই দুর্বৃত্ত শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এই সংগ্রামের লক্ষ ছিলো নারায়ণগঞ্জকে একটি শান্তিপূর্ণ নগরী হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতির শিকড় সব জায়গায় বীর্তৃত হয়েছে। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে নানা দুর্নীতি চলেছে। এর সাথে ছিল মাদক ব্যবসা ও বালু ব্যবসাসহ আরো কিছু। এই পরিবারের মদদে কিছু সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তাদের এই অপরাদ চক্রে এই কিছু সাংবাদিক ও নামধারী ব্যবসায়ীরাই সঙ্গ দিয়েছে। ২০০৮ সালে রাজউক এই ভূমি বিক্রির জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। সেসময়ের রাজউকের এই অবৈধ টেন্ডারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ঢাকায় ওদের অফিস ও ঘেরাও করেছি। তারা নারায়ণগঞ্জে এসে সেই টেন্ডার বাতিল ঘোষণা দেয়।
রফিউর রাব্বি বলেন, আজমেরী ওসমান লাশের পর লাশ ফেলেছে। যখন তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় সেখানে পুলিশের গাড়ি থেকে আজমেরী ওসমান পালিয়ে গেল। যার গাড়ি থেকে পালিয়ে গেল সেই পুলিশ হলো আজমেরী ওসমানের বোনের জামাই। আমাদের প্রশ্ন সেই পুলিশ ইফতেখার কেন এখনো পুলিশ বাহিনীতে বহাল আছে। এই জমি অবৈধ ভাবে কেনা বেচার সাথে যারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ এবং বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা বাসদের সদস্য-সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমান, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মন্টু, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, জেলা খেলাঘর আসরের উপদেষ্টা রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, নাগরিক কমিটির কার্যকরী সদস্য হাফিজুল হক, নারী নেত্রী পপি রানী সরকারসহ আরও অনেকে।