এমআরটি-২ প্রকল্প থেকে নারায়ণগঞ্জ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দেবে গণসংহতি আন্দোলন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: এমআরটি-২ প্রকল্প থেকে নারায়ণগঞ্জকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এবং প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আগামীকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড’ (ডিএমটিসিএল)-এর সদর দপ্তরে স্মারকলিপি দেবে গণসংহতি আন্দোলন। গণসংহতি আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই স্মারকলিপি প্রদান করবে।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমআরটি-২ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ অংশকে বহাল রাখা এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এর বাস্তবায়নের দাবিতে এই স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
তরিকুল সুজন বলেন, “দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক ও অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ জেলা হওয়া সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জবাসী দীর্ঘ দিন ধরে যানজটের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নগরীর মাত্র ৮ শতাংশ সড়ক ব্যবহারযোগ্য। এর উপর, নারায়ণগঞ্জের পরিবহন খাত দীর্ঘ দিন ধরে একটি চক্রের হাতে জিম্মি।”
তিনি আরও বলেন, “এমআরটি-২ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ যুক্ত হবে—এই সংবাদ নগরবাসীকে স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু গত ৩১ আগস্ট গণমাধ্যমের খবরে আমরা জানতে পেরেছি, এই প্রকল্প থেকে নারায়ণগঞ্জকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
তরিকুল সুজন অভিযোগ করেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ এমআরটি প্রকল্পের আওতায় এলেও ঢাকার একেবারেই নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি এটিকে নারায়ণগঞ্জের প্রতি অবহেলা ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
গণসংহতি আন্দোলন দাবি করে, পূর্বে ৪টি স্টেশন দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার যে পরিকল্পনা ছিল, তা বহাল রেখে আরও ৩টি নতুন স্টেশন (শিবু মার্কেট, জেলা পরিষদ এবং চাষাঢ়া) যুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, “প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জকে বঞ্চিত রেখে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। যেকোনো মূল্যে এমআরটি-২ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করতে হবে।”
আগামীকাল, গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকার উত্তরার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড’ কার্যালয়ে পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আবদুল বাকী মিয়ার কাছে এই স্মারকলিপি জমা দেবে।