এবার খোকা-কায়সারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই!
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে এবার সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দাঁড়িয়েছে সোনারগাঁয়ের আসনে। প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম হলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, অতিরিক্ত মহাসচিব (ঢাকা বিভাগ) লিয়াকত হোসেন খোকা এবং সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কায়সার। আসন্ন নির্বাচনে নৌকা-লাঙলের মধ্যে ভাড়ি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন রাজনীতিবিদরা।
জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ হয়ে সোনারগাঁয় (নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে) টানা ২ কার্যকাল যাবৎ সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল আছেন লিয়াকত হোসেন খোকা। এই সময়ের মধ্যে বেশ জড়সড়ো হয়েই অবস্থান করছেন আসনটিতে। কিন্তু প্রেক্ষাপট এবার অনেকটা ভিন্ন, নির্বাচনের মাঠে অনুপস্থিত বিরোধীদল বিএনপি। গুঞ্জন উঠেছে, লাঙ্গলকে এবার শুধু নৌকাই পারবে টেক্কা দিতে, এতে উত্তাপ ছড়াবে পুরো সোনারগাঁয়ে।
গত ২০১৮‘র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোট হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনিত করেন লিয়াকত হোসেন খোকাকে। এ কারণে স্বতন্ত্র হিসেবেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদু্ল্লাহ আল কায়সার। কিন্তু পরবর্তীতে দলীয় নির্দেশনায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১৮‘র নির্বাচনের জেড় ধরে এবার পুরো দমে মাঠ কাপাবেন এইবারের নৌকার মনোনিত প্রার্থী কায়সার। সোনারগাঁয় কি এবার নতুন মুখ আসবে নাকি পুরোনো মুখই বিরাজমান থাকবে এমনটাই ভাবনা জনমনে। কিন্তু এবার নির্বাচনের ময়দানে খোকা ও কায়সারের দেখা হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ১৮ ডিসেম্বর, যে দিন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। সোনারগাঁয়ে এই দুই প্রার্থী বাদেও মাঠে নামতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আরও ১০ জন। এরা হলেন মো. মজিবুর রহমান মানিক (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মো. জামিল মিজি (জাকের পার্টি), এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারার বাংলাদেশ), এরফান হোসেন (স্বতন্ত্র), মারুফ ইসলাম ঝলক (স্বতন্ত্র), মো. আরিফ (মুক্তিজোট), রুবিয়া সুলতানা (স্বতন্ত্র), এ.এইচ.এম মাসুদ (স্বতন্ত্র), সিরাজুল হক (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মোহাম্মদ আসলাম হোসেন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।
এদিকে, মনোনয়নপত্র বাছাই পর্ব অব্যাহত আছে, যা চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাছাই পর্ব শেষ হলে মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। অর্থাৎ মাঠে কারা নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন তা জানা যাবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণার অনুমতি আছে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলায় ১টি পৌরসভা (সোনারগাঁও পৌরসভা) ও ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদ মিলিয়ে মোট ১৩১টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে ও স্থায়ী ভোট কক্ষ আছে ৭৪৪ ও অস্থায়ী ২৭টিসহ মোট সংখ্যা ৭৭১ টি।
গতবারের চেয়ে এবার নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন তথা সোনারগাঁয়ে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। বিগত নির্বাচনে এই আসনে ভোটার সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৩ হাজার ৮৮৯জন ভোটার। এবার ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজার ৮৩১ জন। এবার এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা আছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৪জন ও নারী ভোটার সংখ্যা আছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৩জন। এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১জন।