এনসিপিকে টিপু ‘জুলাই আন্দোলনের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবেন না’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীদের আহবান করবো, যেভাবে শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকজন স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করেছে আপনারাও এই জুলাইয়ের আন্দোলনের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবেন না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে কারণে বৈষম্যদের ছাত্র আন্দোলন হল, সেখানে এনসিপির লোকজনরাই বৈষম্য সৃষ্টি করছে। যেখানে এনসিপির নেতা কর্মীদের বড় বড় সভায় ডাকা হয় সেখানে তাদের সাথে আন্দোলনে সহযোদ্ধা যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সভায় সাধারণভাবে যায়। এটা কি তারা বৈষম্য করছে না?
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে চাষাড়া শহীদ মিনারে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর ছাত্রদলের আয়োজিত এই সভায় বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২৪ শে বৈষম্যে আন্দোলনে যখন একটি পর্যায়ে স্তব্ধ হয়ে গেছিলো। খুনি হাসিনার দোসর ডিবি হারুন যখন ছাত্র আন্দোলনের ৬ জন নেতাকে অফিসে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তখন আন্দোলন থমকে যেতে শুরু করে। তখন আমাদের নেতা তারেক রহমান হুংকার দিয়ে উঠেছিলেন, তিনি এই দাবির সাথে এক দফা দাবি যোগ করেন। সেই থেকেই ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুবদল ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা যোগ হয়ে আরো বলিষ্ঠ আন্দোলন শুরু করে। সে আন্দোলনেই শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে।
টিপু আরও বলেন, আজকের এই সভা থেকে শুধু জুলাই শহীদদের নয় গতকাল মাইলস্টোন স্কুলে যে সকল শিশু শিক্ষার্থীরা নিহত হয়েছে তাদের সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। ছাত্রদলের ইতিহাস অনেক বৃহৎ, সেই ইতিহাস দুই এক মিনিটে কথা বলে শেষ করা যাবে না। একাত্তরের শহীদ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন, কিন্তু সেই থেকে ২৪ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা চেতনাকে আওয়ামী লীগ হাইজ্যাক করে রেখেছে। তারা সেই থেকে এমন ভাবে মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে হাইজ্যাক করেছে সে মানুষ মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস শুনে বিভ্রান্ত হয়েছে। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান রেখেছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা এমন ভাবে উপস্থাপন করেছে যেন তারাই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছে। অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের কোন অবদান ছিল না। দেশের স্বাধীনতা ঘোষনায় তাদের নেতার কোন অবদান ছিল না। তাদের নেতাদের মধ্যে বীর উত্তম, বীর বিক্রম কোন খেতাব নেই।