শুক্রবার, জানুয়ারি ৩, ২০২৫
সদর

এনআর গ্রুপের শ্রমিকদের বরখাস্ত ও হামলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লা সাময়িক বরখাস্ত, হামলা-মামলা, গ্রেফতার, দমন-পীড়ন বন্ধসহ নানা দাবিতে মানববন্ধন করেছে এন আর গ্রুপের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এন আর গ্রুপের শ্রমিক সোহাগ শেখের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আঃ হাই শরীফ, গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক নূর ইসলাম আক্তার, অর্থ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, এন আর গ্রুপের শ্রমিক জাহিদ ও সদ্য কারামুক্ত শ্রমিক রিনা বেগম প্রমুখ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, এন আর গ্রুপের মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উপর কাজের টার্গেট বাড়িয়ে দিয়ে জুলুম অত্যাচার চালায়। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জোরজবরদস্তি করে। টার্গেট পুরন করতে ব্যার্থ হলে স্টাফ’রা অকথ্য ভাষায় শ্রমিকদের গালিগালাজ ও মারধর করে। যার ফলে শ্রমিকরা এই জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও শ্রমিকদের মারধরের বিচার দাবিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মবিরতি পালন করে। তাঁদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহযোগিতায় এন আর গ্রুপের মালিক শ্রমিকদের উপর জোট সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানি ও বহু শ্রমিককে গ্রেফতার করিয়ে জেলা পাঠিয়েছে।

মালিক কর্তৃপক্ষের এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময় শ্রমিকরা শোষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মজুরি বৃদ্ধি ও বকেয়া মজুরি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। গত ৫ আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে শ্রমিক তাঁর শ্রমের ন্যায্য মজুরি পাবে। চাকরি ও জীবনের নিরাপত্তা পাবে। শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু সেই আশা আজ হতাশার রুপ নিচ্ছে। আ’লীগ সরকারের দোসর মালিক গোষ্ঠী পুরনো কায়দায় শ্রমিকদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।

ফতুল্লা ফ্যাশনের মালিক শতাধিক শ্রমিকের ৩ মাসের বকেয়া বেতন ও আইনি পাওনা না দিয়ে কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা তাঁদের পাওনা আদায়ে বিকেএমইএ ও কলকারখানা অধিদপ্তরের দারস্থ হয়েও অদ্যবধি টাকা পায়নি। ক্রোনি গ্রুপের শ্রমিকরা আইনগত পাওনাদীর জন্য মাসের পর মাস দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছে। মালিক গোষ্ঠীর এই অন্যায়, অত্যাচার ও জুলুম, নির্যাতন বরদাস্ত করা হবে না। এন আর গ্রুপের ৬৪ জন শ্রমিক’কে সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ দিয়ে আবার অনেক’কে বিনা নোটিশে কারখানার বাহিরে রাখা হয়েছে। কাজে যোগদান করতে দেয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে সবাইকে কাজে পূর্ণ বহাল করতে হবে। অবিলম্বে কারাবন্দি এন আর গ্রুপের ৭ জন শ্রমিক’কের নিঃশর্ত মুক্তি, ফতুল্লা ফ্যাশন ও ক্রোনি গ্রুপের শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করে শিল্পাঞ্চলের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ

RSS
Follow by Email