এগারো মাস শেষ, কবে পূর্ণাঙ্গ হবে জেলা আ.লীগ
#কবে হবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলতে পারবে: আব্দুল হাই
#শুধু না.গঞ্জ না, আরও অনেক জেলা বাকি আছে: ভিপি বাদল
#দ্রুত এই কমিটি গঠন করা হোক: আনিসুর রহমান
#কমিটি থাকলে সবাই মিলে কাজ করতে পারতাম: জাহাঙ্গির আলম
#সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়হীনতায় কমিটি হচ্ছে না: সুফিয়ান
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঢোল ঢাকর, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নারায়ণগঞ্জকে সজ্জিত করে, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে। শুধু নেতা নয়, কর্মীদের মধ্যেও ছিলো ভিন্ন এক আনন্দ। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ওই সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এর নাম ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও, এক মাসের শর্তে পূর্নাঙ্গ কমিটির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বর্তমানে সেটা প্রায় ১১ মাস অতিক্রমের পথে। ফলে ব্যাক্তি ব্যানারে নেতাকর্মীদের দেখা মিলছে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও সভা সমাবেশ গুলোতে। দলকে গতিশীল করতে পূর্নাঙ্গ কমিটির বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন জেলার একাধিক নেতা।
একই ভাবে তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, ‘সাংগঠনিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগ, পড়ছে সংগঠনে বিরুপ প্রভাব। রয়েছে কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়হীনতাও। পিছিয়ে পড়ছে জেলা আওয়ামী লীগ, তাই দ্রুত কমিটি করে ঐক্য বদ্ধভাবে কাজ করতে চায় তাঁরা।’
এদিকে, চলতি বছরে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বড় সাতটি পরিবর্তণ লক্ষ্য করা গেছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় পরিবর্তণে বলা আছে ‘দলের যে কোনো পর্যায়ের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। যদিও আগে এই বাধ্যবাধকতা ছিল না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপু লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, কিছুদিন আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হলো, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের গঠনতন্ত্রে কমিটি গঠন করার নির্দিষ্ট সময় থাকলেও বলা আছে, যদি বিশেষভাবে সাংগঠনিক প্রয়োজনে যদি সময় বাড়াতে চায় কমিটি গঠনে তাহলে কেন্দ্রে সেটা বিবেচনায় রাখবে। সামনে আমাদের অনেক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে, তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী। আমি আশা করি এখন যেই সংকট দেখা দিচ্ছে, সামনে আশা করি দেখা যাবে না। আমরা চাই দ্রুত এই কমিটি গঠন করা হোক।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, সম্পন্ন একটা কমিটি থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করতে সুবিধা হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়হীনতার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না। যারাই নেতৃত্বে আসুক, কিন্তু কমিটি হওয়াটা জরুরী। আমি দাবি জানাই, সামনে যেহেতু নির্বাচন তাই, দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হোক। আমরা নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি এতো দিনে কেন হচ্ছে না জানি না। তবে কমিটি থাকলে সবাই একসাথে মিলে কাজ করতে পারতাম। তাহলে জেলা আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হতে পারবে। যদি পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকে তাহলে দলীয় ভাবে একটু দুর্বল হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল (ভিপি বাদল) লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি শুধু নারায়ণগঞ্জ জেলা না, আরও অনেক গুলো জেলা বাকি আছে । তবে আমাদের কেন্দ্রীয় ভাবে যেসব কর্মসূচি দিচ্ছে, সে দিক থেকে আমাদের সংগঠন অনেক শক্তিশালী আছে। তবুও আশা করি অতি শীঘ্রই আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হবে সেটা কেন্দ্রীয় নেতারা বলতে পারবে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি নেতাকর্মীদের একসাথে নিয়ে চলার জন্য। আশা করি ঐক্যবদ্ধ করে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবো আমরা।