শনিবার, জুন ৭, ২০২৫
Led02জেলাজুড়েপরিবহন

এখনো পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তি, সিলেট সড়কে ধীরগতি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঈদুল আযহার ছুটিতে শহর ছেড়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় নারায়ণগঞ্জের অংশজুড়ে যেন উৎসবের আবহ। বিশেষ করে কলকারখানা ছুটির পর মহাসড়কের পাশে থাকা সাইনবোর্ড, শিমরাইল ও মেঘনা এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় এখন অন্যতম চিত্র।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকাল পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য যানজট দেখা যায়নি। হাইওয়ে পুলিশের নিবিড় নজরদারি এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে এই পথে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন।

তবে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে চিত্রটি ভিন্ন। ২১ কিলোমিটারের মধ্যে রূপসী-তারাব ও বরপা এলাকায় মহাসড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত, যা যান চলাচলে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। এর উপর, মোড়ে মোড়ে যানবাহন থেমে থাকার কারণে সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। বৃষ্টিতে এই ধীরগতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ। বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা এবং কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে।

এবারের ঈদযাত্রায় নির্বিঘ্ন যানচলাচল নিশ্চিত করতে দুটি মহাসড়কের মোট ১১টি পয়েন্টে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই নিবিড় টহল ও চেকপোস্টের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।

তবে, সিলেট মহাসড়কের চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে, ঘরমুখো যাত্রীদের ধৈর্য ধরে যাত্রা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি এবং সড়ক সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ হলে এই রুটের ভোগান্তিও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

RSS
Follow by Email