আ.লীগ রক্ষক সেজে ভক্ষক হয়ে জনগণের সম্পদ লুট করেছে: মামুন মাহমুদ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ বিপদ দেখলেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যায়। বিএনপি বিপদ দেখে পালায় না। অত্যাচার নির্যাতন ও মৃত্যু যন্ত্রনা সহ্য করেও বিএনপি দেশের মানুষের পাশে থেকেছে। জনগণের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বিপদ দেখে দেশের মানুষকে ছেড়ে বিএনপি পালিয়ে যাবে না। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশের প্রতিটি এলাকায় গডফাদার তৈরি করেছিল। তারা জনগণের রক্ষক সেজে ভক্ষক হয়ে জনগণের সম্পদ লুট করেছে। যাদের ভয়ে মানুষ কথা বলার সাহস পায়নি। তারা জনগণকে ভোট দিতে দেয় নাই।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় তারেক রহমানের পক্ষে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এসময় এক বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে একজনও মুক্তিযোদ্ধা নাই। তারা ভারতের মুক্তিযোদ্ধা। ভারতের হোটেলে থেকে স্বাধীনতার পর দেশে এসে কাগজে কলমে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। বিএনপি হলো রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। দেশকে তারাই বেশি ভালোবাসবে যারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে। যারা ভারতে বসে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে তারা দেশকে ভালোবাসবে না। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। বিএনপিই হলো সেই রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপিই প্রকৃত দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ নয়। তিনটি নির্বাচনে বিনা ভোটে তারা নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রকে দখল করে চুরি, ডাকাতি, ব্যাংক লুট করে দেশের মানুষের উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে কোটি কোটি নিয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। আজ সবাই মুক্ত ও স্বাধীন।
মামুন মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে প্রার্থক্য হলো, আওয়ামী লীগ নেত্রী জনরোষের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আর বিএনপি নেত্রী লাখা লাখ মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে চিকিৎসার জন্য সম্মানের সাথে বিদেশে গেছেন। বিগতদিনে বিএনপির যারা দলের জন্য কাজ করেছে। জনগণের পাশে থেকেছে। তারাই জনগণের ভোটে এমপি মন্ত্রী হয়ে জনগণের সেবা করবে। কোন সুবিধাবাদীর জায়গা বিএনপিতে হবে না। আমাদের এলাকায় যারা বিগত দিনে লুটপাট ও ভূমিদস্যুতার সাথে যুক্ত ছিল তারা বিএনপিতে ঢুকার জন্য উঁকিঝুকি মারে। এদের কোন স্থান বিএনপিতে হবে না।