আ.লীগের পতন হলেও না.গঞ্জে চাঁদাবাজি-দখলদারি বন্ধ হয়নি: ভিপি নুর
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফুটপাত, দোকানপাট ও মার্কেটে চাঁদাবাজি এখনো বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব বন্ধ হয়নি। এই যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছে। দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে তাদের দুই বছরের মত সময় লাগতে পারে। আমরা বলেছি, রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারকাজ করতে যে কয় বছর লাগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সে সময় দেব। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ আমরা ১৬ বছর সহ্য করেছি। কাজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কাঠামোকে বদল করার জন্য দুই এক বছর সময় নেয়, আমরা তা সহ্য করতে পারব। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যেন জনরোষ তৈরি না হয়। দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি মানুষের যে ভোগান্তি এগুলো নিরসন করতে না পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণ ফুসে উঠবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সদর থানার ডিআইটি রোডে এ গণ সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি। গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর’র আয়োজনে এক গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদের সভাপতিত্বে ও গণঅধিকার পরিষদ মহানগর’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ ভূইয়ার সঞ্চালনায় গণ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। এসময় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফসহ নারায়ণগঞ্জের গণ অধিকার পরিষদ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ভিপি নুর বলেন, আমরা চাইনা আওয়ামী লীগের মতো কেউ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করুক। কিছু রাজনৈতিক দলের বাড়াবাড়ি কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে তাতে সবাই দেখতে চায় নতুন নেতৃত্ব, নতুন রাজনৈতিক চুক্তি। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেকে রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়েছেন। তাদের বলবো, এখন সময় হয়েছে দেশ গড়ার। দেশের প্রয়োজনে জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতের প্রজন্মকে রক্ষায়, নতুন ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা যে পরিবর্তন পেয়েছি, সে নতুন বাংলাদেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে তারুণ্যের দল গণঅধিকার পরিষদ কাজ করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণধিকার পরিষদ সহ অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন আছে দেশে। গত ১৫ বছরে কোন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে নাই। ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য যে লড়াইয়ের দরকার ছিল তা তারা গড়ে তুলতে পারেননি। আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলোকে টোপ দিয়ে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি সহ ৪২ টি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার অবসানের জন্য এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। তখন অনেক দলকে আহ্বান করা হয়েছিল। এক দফার দাবিতে তারা রাজপথে নামেন নাই। শেখ হাসিনার সাথে সমঝোতা করে ফ্যাসিবাদী সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য তারা কাজ করেছে।