আ.লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে নগরীতে এনসিপির বিক্ষোভ ও মিছিল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুর ৩টায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, হাজার হাজার আহত ও শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আশা করেছিরাম আমরা একটি শান্তিপূর্ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশখ গড়ে তুলবো। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ করছি, বিপ্লবের ৮ মাস পর হলেও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের কোনো পদক্ষেপ নেই। আওয়ামীলীগের যারা আটক হচ্ছেন তারাই ৪-৫ দিন পর জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের পুর্নবাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। যারা এতোদিন ওসমান পরিবারের ও স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলেছে, তারাই বিপ্লবের পর অনেক বড় বিপ্লবী হয়ে গেছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তারা ওসমানীয় লোকদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। আমরা এমন নারায়ণগঞ্জ চাই না। ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যার আসামীরা নিজ এলাকায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে আর আন্দোলনে আমরা আহত ভাই ও বোনেরা কাতরাচ্ছে, শহীদদের পরিবার অসহায়ের জীবন যাপন করছে। প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই আগস্টের পর যে সরকার এসেছে তাকে নেতৃত্বের জন্য ধারণ করতে হবে। আপনারার যদি ফ্যাসিস্টদের জন্য এক বিন্দু ছাড় দেন তাহলে নারায়ণগঞ্জের ছাত্র জনতা আপনাদের যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবে। আওয়ামীলীগের বিচার করতে হবে, তাদের নিবন্ধণ বাতিল করতে হবে, বিগত র্নিবাচনে ভোটহীন ভাবে ক্ষমতা দখল করায় তাদের নির্বাচনেও নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা শেখ হাসিনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলেছিলেন তারা এখন নারায়ণগঞ্জে বড় বড় বিপ্লবি সাজেন। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কবির রচনার জন্য আমরা রাজ পথে থাকবো।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মুখ্য সমন্বয়ক তুহিন মাহমুদ বলেন, যারা জনগণের অধিকার হরণ করবে তারা দেশে কোথাও জায়গা পাবে না। আমরা এনসিপি তাদের প্রয়োজনে আবার রাজপথে নামবো। যারা আন্দোলনে আমাদের ছাত্র জণতার হাত-পা কেটেছে তাদের পুলিশ আটক করলে কিছু নেতারা থানায় গিয়ে তদবীর শুরু করে। কি রাজনীতির চর্চা করছেন আপনারা? আপনাদের এই অপরাজনীতির মুখে আমরা থুতু নিক্ষেপ করি।
কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণ অঞ্চলের সংগঠক সওকত আলী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থেকে নেমে গেলে তাদের ২ লাখ মা বোনদের মেরে ফেলা হবে। তারা এমন কাজ করেছে যে তাদের এই ভয় হচ্ছে। কিন্তু ৫ তারিখের পর মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচারণ করেছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি। এই নারায়ণগঞ্জে ত্বকী, চঞ্চলসহ আরও অনেক খুন করেছে ওসমানীয়রা। তারা নারায়ণগঞ্জবাসীর উপর কি অত্যাচার করেছে তা আমরা জানি। যদি স্বৈরাচারের দোষরদের আবার পূর্নবাসনের চেষ্টা করা হয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জের ছাত্র জনতা আপনাদের প্রতিহত করবে। আওয়ামীলীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের ভেতর বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নীরব রায়হান, সদস্য সচিব জাভেদ আলমসহ আরও অনেকে।