শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
Led03রাজনীতি

আ.লীগের গুম-খুনের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে আলেম সমাজ: মামুনুল হক

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘পতিত স্বৈরাচার ভিনদেশের প্রশ্রয়ে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ তাদের দলের ব্যানারে কোন কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে সব দল মত মিলে তাদের বিতাড়িত করতে যা করা দরকার তাই করবেন। শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা দেশ থেকে পালানো সময় লাগেজে করে দেশের টাকা, পয়সা নিয়ে চলে গেছেন। শেখ হাসিনার তার দলের নেতাকর্মীদের প্রতিই মায়া নেই দেশের মানুষের প্রতি মায়া থাকবে কি ভাবে। এই দেশের মানুষ আওয়ামীলীগকে আর দেখতে চায় না। তাই যারা গুম খুনের সাথে জড়িত তাদের এই দেশে এনে বিচার করা হবে।’

রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর মাঠে এক গণসমাবেশে এ কথা বলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। খেলাফত মজলিসের সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি হাফেজ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যানদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কুরবান আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা হুসাইন আহমদ প্রমূখ।

মামুনুল হক বলেন, তোমাদের তওবা করা উচিত। তওবা করো আর কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবা না। তওবা করো এই শেখ পরিবারের পেছনে আর কোনদিন নাচবে না। এরা একবার বাকশাল করে তোমাদের কলঙ্কিত করেছে, আরেকবার ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়ে তোমাদের কলঙ্কিত করেছে। শেখ হাসিনা পঞ্চাশ বছর ধরে রাজনীতি করে। এই পঞ্চাশ বছরের রাজনীতি ছিল বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধের রাজনীতি। শেখ হাসিনা ভাবে এদেশের মানুষ তার বাবার খুনী। তার বাবার মৃত্যুর পর এদেশের মানুষ মিষ্টি খেয়ে দেশের সকল দোকান খালি করে ফেলেছে। এজন্যেই সে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা ও তার হাতুড়ি, হেলমেট লীগ যা করেছে তা বিশ্ব দেখেছে। গোটা বাংলাদেশকে তারা মৃত্যুপুরীতে রুপান্তরিত করেছে। এ হত্যাকান্ডের বিচারের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের যেখানেই আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে কোন কর্মসূচি পালন করতে নামবে বাংলাদেশের মানুষ তাদের মোকাবিলা করবে। আওয়ামী লীগের গুম খুন ও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে প্রতিটি বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। সবচেয়ে বেশি তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে এদেশের আলেম সমাজ। ইসলামী সংগঠনগুলোকে বারবার রক্ত দিতে হয়েছে। গোটা বাংলাদেশে নবীর ইজ্জতের হেফাজত করতে গিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের রক্ত দিতে হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব, কিন্তু ইসলামের ওপর কোন আঘাত সহ্য করবো না।

RSS
Follow by Email