আড়াইহাজারে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলি, আটক ১০
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আড়াইহাজারের রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ (নৌকা) সমর্থক ও জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই আসনের লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আলমগীর সিকদারের অভিযোগ, নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দিচ্ছেন প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু’র সমর্থকরা। এর প্রতিবাদের ভোট বর্জন করেছেন আলমগীর শিকদার। সংঘর্ষের পর কেন্দ্রটির নারী ও পুরুষ দুটি কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় আলমগীর সিকাদারের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও তার ছোটভাই জাহাঙ্গীর সিকদারসহ ১০ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকে জানান, ‘ জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ তুলে আলমগীর সিকদার ও তার ভাই জাহাঙ্গীর সিকদারের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা কেন্দ্র ও ব্যালটবাক্স ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুড়ে। ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনায় জাহাঙ্গীর সিকদারসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ‘
ভোটের দিন সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। এরপর বেলা ১১ টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আলমগীর সিকদার। সংঘর্ষে আহত দুজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আলমগীর সিকদার গণমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে সকাল ১০ টার দিকে রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে দেখা যায় একটি কক্ষে নৌকা ও ইগল প্রতীকের দুই এজেন্ট জাল ভোট দিচ্ছে। এনিয়ে তারা প্রতিবাদ করলে নৌকার লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় গ্রামবাসীও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে পুলিশ গুলি করে। এতে তার দুই সমর্থকের গায়ে ছররা গুলি লাগে।
তার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নজরুল ইসলামের নির্বাচন সমন্বয় সুন্দর আলী। তিনি বলেন, ‘ পরাজয় নিশ্চিত জেনে লাঙ্গলের প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’