আসেন এক মঞ্চে বক্তব্য দেই, বিএনপিকে শামীম ওসমান
সিদ্ধিরগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী দুই মাস কঠিন ষড়যন্ত্র হবে। আমি আপনি না থাকলে কিছু হবে না। একটা মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে। ঐ মহিলাকে নিয়েই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আল্লাহ যেনো জাতির পিতার কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখেন। আসুন নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘন্টা বাজাই আওয়াজ তুলি, আগামী ১৬ তারিখ সমাবেশে অতীতের সকল রেকর্ড ভাঙবে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী কদমতলী এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর জনসভাকে ঘিরে এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধিরগঞ্জ চাইলে আওয়ামীলীগের ক্যান্টরম্যান্ট হতে পারে। যদি সবাই মিলে এক হয় বিভেদ বাদ দিয়ে তাহলে এখানে এক থাকলে র্যাব পুলিশ সেনাবাহিনী ডুকতে পারবেনা।
এসময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভিকে ছোট বোন উল্লেখ করে বলেন, আমি আমার ছোট বোনকে অনুরোধ করবো এখন সবকিছুর দাম একটু বাড়সে যুদ্ধের কারণে তাই সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষের ট্যাক্সটা কমিয়ে দিতে। আমি আশা করবো আমার ছোট বোন আমার কথা রাখবে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, যদি মনে করেন আবার মারবেন ফাটাবেন ফুটাবেন তাহলে কিন্তু সময়ও পাবেন না। যদি বলেন সমাবেশ করবেন মিটিং করবেন আসেন এক মঞ্চে বক্তব্য দেই। কেন জনগণ আপনাদের বেছে নেবে কেন আমাদের বেছে নেবে বলি, জনগণ যদি আমাদের না বলে তাহলে ছেড়ে দিব আর যদি আপনাদের না বলে তাহলে আপনারা বাড়াবাড়ি করবেন না।
সিদ্ধিরগঞ্জবাসীকে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, নেত্রী বলামাত্র যেন লাখো লোক সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে পারেন সেভাবে প্রস্তুত হন। দেশের জন্য আগামী দুই মাস সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমার বাবা একজন সৎ লোক ছিলেন। আমার মা অনেক সাহসী মহিলা ছিলেন। আমার মা কখনো ভয় পেতেন না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চাইতে বড় ভাই চলে গেলেন ভারতে। রাজনীতি করবো কখনো চিন্তা করি নাই। একটা দেশ স্বাধীন করে যারা লুটপাট করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়। তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে দেখেন পাকবাহিনী মারতে পারলো না কিন্তু আমরা মেরে ফেললাম। পরিবারসহ হত্যা করলো। ছোট ছেলেটাকেও ছাড়লো না। আমার অবাক লাগে। আমরা কি জাতি একটা মহিলাকে আমরা এতিম করে দিলাম। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২-এ তার পিতার জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পরতে চেয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর নামাজ পরতে দেয় নাই। এই দেশে এখনো যদি রাজাকার আল সামস্, জামাতের লোকেরা যদি কথা বলে হুমকি দেয় রাজপথ দখল করার তাহলে এই স্বাধীনতার কোন দরকার নাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছি। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা এখন আপনার আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত। তাই শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই নারায়ণগঞ্জ গত ১৪ বছর অনেক শান্ত ছিলো। আমরা ক্ষমতায় এসে কিন্তু কাউকে একটা ফুলের টোকাও দেই নাই। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকে আমরা ভয় পাই না। মা কইয়া গো বলার সময় পাবেন না কিন্তু। মামা নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার চেষ্টা কইরেন না। বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শের প্রতিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অশ্লীল ভাষায় কেউ গালি দিবেন আমরা কিন্তু ঘরে বসে থাকবো না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি
মতিউর রহমান মতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ এহসানুল হাসান নিপু, নাসিক প্যানেল মেয়র শাহজালাল বাদল, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আনোয়ার ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব হোসেন, শ্রমিক নেতা আশরাফ উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খন্দকার মানিক মাস্টার, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির ও ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা তানজিম কবির সজু প্রমুখ।
<span;>সভাপতিত্ব করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান।