বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েরাজনীতিসদর

আলী আহাম্মদ চুনকা’র স্বরণে জেলা আ.লীগের দোয়া

#বিচার কাজের জন্য চুনকা ভাই বেশ সুনামধন্য ছিলেন: আব্দুল হাই
#আ.লীগ অফিসে চুনকা-জোহা ভাইয়ের ছবি লাগানোর দাবি জানাই: ভিপি বাদল
#জনতার কাছে চুনকা ভাই, চুনকা সাহেব না: সুফিয়ান
#চুনকা সাহেব কৃষক-শ্রমিকদের সাথে সম্পৃক্ততা বেশি ছিল: জিএম আরাফাত

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়াণগঞ্জ পৌর সভার সাবেক চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলী আহাম্মদ চুনকা’র ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আছর জেলা কার্যলয়ে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় আলী আহাম্মদ চুনকা, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গণপরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামসুজ্জোহাসহ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই বলেন, আমি শ্রদ্ধার সাথে চুনকা ভাইকে স্মরণ করছি। আমার আজও মনে পড়ে তাঁর জন্য ডিআইটির চত্বরে বিশাল জানাযা হয়েছিল। স্বাধীণতার আগে উনি বিডি মেম্বর ছিলেন। উনাকে অনেকেই তখন বিডি মেম্বর হিসেবে চিনতেন। বিচার কাজের জন্য উনি বেশ সুনামধন্য ছিলেন। একবার শুনলাম, উনার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বিচার কাজে উনি ছিলেন। সেখানে তিনি বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। তিনি ন্যায় বিচার কাজ করেন। এমন ছিলেন চুনকা ভাই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল (ভিপি বাদল) বলেন, আজকের দিনটিতে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার পৌরপিতার প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি তার সহধর্মিণী জনপ্রিয় নেত্রী আইভীর মা মমতাজ বেগমের প্রতি। আজকে শুধুই বলতে চাই, মঞ্চে যদি বড় বড় কথা বলি ও মঞ্চের বাইরে কথার সাথে কাজের কোন মিল না থাকে তাহলে সেই বক্তব্য হয় নিরর্থক। আমি খোলামেলাভাবে অনেক কথা বলি, তাই আমাকে মাফ করে দিবেন। গত ২০ তারিখে সামসুজ্জোহা ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে বলেছিলাম, আমারা কেমন অপরাধী যে আমাদের কোন প্রার্থী দেওয়া হয় নাই। কে কি মনে করে তাতে আমার কোন আসে যায় না। কিন্তু এটা আমার মনের কথা, মনের ব্যথা। আমি আজকের দিনটিতে বলতে চাই, এখানে (আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে) চুনকা ভাই, জোহা ভাই, আওয়ামী লীগের সভপতি-সম্পাদকের ছবি লাগালে কি কোন আপরাধ হবে। তাহলে, আমি এই ছবি লাগানোর দাবি জানাই। সাথে মনির ভাইয়ের ছবিটাও যেন থাকে। আমাদের এখন বিদায়ের পালা। তাই নতুনদের এগিয়ে দিন। আমরা ২ জন কি ৫ জনকে যাই বক্তব্য দেই, নতুনদের সুযোগ করে দিতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান বলেন, প্রয়াত পৌরপিতা আলী আহাম্মদ চুনকাকে স্মরণ করার মতো আমার কোন স্মৃতি নেই। তবে আমি যখন স্কাউট করতাম, ১৯৮৩ সালে আমাদের ক্যান্টিনে একবার উনি গিয়েছিলেন। চুনকা ভাইয়ের মৃত্যুর পর আব্বাকে উনার সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। আব্বা বলেছিলেন, শিক্ষক-শ্রমিকসহ আপামর জনতার কাছে উনি চুনকা ভাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কখনও চুনকা সাহেব হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। ৩-৪ বছর আগে চুনকা ভাইয়ের স্মরণ সভায় চুনকা ভাই লেখা হত, চুনকা সাহেব না। আমিও তাকে চুনকা ভাই হিসেবেই মনে রাখবো।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত বলেন, মরহুম আলী আহাম্মদ চুনকা সাহেব ছিলেন জনমানুষের নেতা। উনি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। কৃষক-শ্রমিকদের সাথে উনার সম্পৃক্ততা বেশি ছিল। সবাই জানতেন, উনার চলাফেরা ছিল সাধারণ মানুষের মত। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাত নসিব করেন, সেই কামনা করছি। গত ২০ তারিখেও জনপ্রিয় নেতা, প্রাণ প্রিয় নেতা সামসুজ্জোহা সাহেবের মৃত্যু বার্ষিকী ছিল। তাঁর আত্মার মগফেরাত কামনা করছি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের যেসব সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গত হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সবাইকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করেন সেই প্রার্থণা করি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই’র সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল (ভিপি বাদল) ও জেল আওয়ামী লীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন’র সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, এড. আসাদুজ্জামান, আরজু রহমান ভূঁইয়া, সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, শামসুজ্জামান ভাসানী, মো. শহিদুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ নেতৃবৃন্দ।

RSS
Follow by Email