বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Led02রাজনীতি

আলীরটেক হবে একটা পর্যটন এলাকা: এমপি সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, পর্যটন এলাকা হবে আলীরটেক। আপনারা যদি কৃষি কাজ করেন, তাহলে শহর থেকে কোন পণ্য এনে খেতে হবে না। আপনারা যদি উদ্যোগ নেন, তাহলে কোরবানীর পশুও বাহির থেকে কিনে এনে কোরবানী করতে হবে না। এখানেই সম্মেলিত ভাবে উদ্যোগ নিতে পারেন। এখানে প্রচুর পরিমান গাছ আছে। আপনারা উদ্যোগ নিলে অবশ্যই সফল হবেন।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ডিক্রিরচর খেয়াঘাটে ফেরী পাড়াপাড় চালুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলীরটেক বাজারের ৯নং ওয়ার্ডে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম ওসমান বলেন, এখন আলীরটেকে ৩০ হাজার মানুষ। ফেরী চালুর পর আগামী ১ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার মানুষের বসবাস হবে। আপনারা সহজে জায়গা বিক্রি করে দিয়েন না। পরে না হলে কপাল থাপরাবেন। রাস্তাঘাট যত হবে, ব্যবসা, বাণিজ্য উন্নয়ন তত বাড়বে। আলীরটেকের জন্য ৫০ টন চাল এবং গমের বরাদ্দ আমি আগামীকাল দিবো। কাবিখার মাধ্যমে ৩৫ লাখ টাকা রাস্তা ঘাট ও মসজিদ উন্নয়নের জন্য আমি দিবো। আমার কাছে ৫০ ভান টিন ও ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আছে, সে গুলোও আমি আগামীকাল সকালে বরাদ্দ দিবো।

আলীরটেক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারাম্যান প্রসঙ্গে বলেন, ভিলেজ পলিটিক্স যার করবে তাদের সাথে আপনারা চলাফেরা করবেন না। সে আমার যত আপন মানুষই হোক না কেন, আমি তাকে টেলিফোনে আহবান করে ছিলাম। সে বলেছে- আলিরটেক ইউনিয়নের সাথে তার সর্ম্পক নাই। রোজার মধ্যে আমাদের এই ফেরী চালুর কথা ছিল, কিন্তু আল্লাহর কাছে হয়তো আমরা চাইতে পারি নাই। দেড়িতে হলেও উদ্বোধন করতে পাড়ায় আল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। এই ফেরী চালুর মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের সাথে আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষের দুরুত্ব কমে আসবে।

সেলিম ওসমান বলেন, এই এলাকায় স্কুল ছিল না। আমি ব্যক্তিগত অর্থায়নে হলেও এই এলাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রিয় পুত্র শেখ রাসেলের নামে স্কুল ভবন করে দিয়েছি। যাতে এই এলাকার ছেলে মেয়েরা সুশৃঙ্খল ভাবে লেখা পড়া করতে পারে। আলীরটেকের চেয়ারম্যান খুবই ভালো মানুষ। আমি তার মতো মানুষ পাই নাই। সবকিছু তেই সে তারা হুরা করে, ফেরী উদ্বোধনই ঠিক ছিল, আজকে জনসভা করার প্রয়োজন ছিল না। জনসভা করার কোন দরকার ছিল না, এখানে এসে মনে হচ্ছে এমন কোন ঘর নাই, যে ঘর থেকে মানুষ এসেছে। এই একতা ধরে রাখতে পারলে আলীরটেক হবে একটা পর্যটন এলাকা। আলীরটেকে মাদ্রাসার সামনে একটি জায়গায় ঈদগাহের ঘোষণা হয়েছিল। চেয়ারম্যান অনুরোধ করেছে-সেখানে একটা উন্নত মানের মার্কেট তৈরি করার জন্য। আমি বার বার বাঁধা দিয়েছি, সরকারি জায়গায় ইচ্ছা করলেই কোন কিছু করা যাবে না। তবে, সবাই যদি একত্রে চায়, যে কোন কিছুই করা সম্ভব।

সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমরা দোয়া করবো চেয়ারম্যান সাহেবের জন্য, উনি যেন সকলের দোয়া পূরণ করতে পারেন। উনি অনেক বড় একটি ঈদগাহ বানানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। আল্লাহ যদি আমাকে হায়াত রাখে আগামীদিন রমজানের পরে আমি ঈদের নামাজে এখানে এসে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। আমি টাকা চাই না, পয়সা চাই না। আমি শুধু আপনাদের কাছে চাই, চেয়ারম্যানের হাতকে শক্তিশালী করবেন। আল্লাহ আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। ১৮ বছর বয়সে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে আপনাদের জন্য একটা পতাকা ও একটা মানচিত্র উপহার দিয়েছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নাসরিন ওসমান, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, এনসিসি ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান প্রমুখ।

RSS
Follow by Email