আরও ৬২ জন আটক, চার থানায় নতুন ৮ মামলা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কোটা আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা-প্রতিষ্ঠান, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সাথে বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪৩৬ জন, মামলার সংখ্যা ২২টি।
জানা গেছে, ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা নারায়ণগঞ্জ শহর সহ বিভিন্ন জায়াগায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে আসামিরা চাষাঢ়া মোড়, ২নং রেলগেট, সদর থানা, ফতুল্লা থানার জালকুড়ি, ভূঁইগড়, সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল, চিটাগাং রোড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি অফিস সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ পিবিআইএ অফিসেও তারা হামলা করে। এছাড়াও কাঁচপুর মেঘনা টোল প্লাজা, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। সেই সাথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এসবি গার্মেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সাইনবোর্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্স, বন্দর ধামগড় ফাঁড়ি, জালকুড়ি শীতল বাস ডিপো পুড়িয়ে দেয়। শিমরাইল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে গত ২১ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারীদের অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ২৫ জুলাই দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ১৪টি নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম-অপারেশন) চাইলাউ মারমা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) হতে শুক্রবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত নতুন করে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৩টি, ফতুল্লা থানায় ২টি, বন্দর থানায় ১টি ও সদর থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মোট গ্রেপ্তার সংখ্যা ৪৩৬ জন। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।