আমার চোখে পর্দা নেই, জিভ ব্লেডের মতো ধার: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘আমি এমন একটা মানুষ যার চোখে কোন পর্দা নেই, এই জিভ টা ব্লেডের মতো ধার। আমি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করতে চাই। কে কোন দল এটা আমি বুঝি না। আমি কিছু বললে আমার ইউএনও মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা; সব কাজ করে দেয়। আমার একেকটা চেয়ারম্যান একেকটা উজ্জ্বল নক্ষত্র।’
নিজ গরু বিক্রির টাকায় বন্দর নবীগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে সেলিম ওসমান একথা বলেন।
বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে নবীগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে উৎসব মূখর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তযোদ্ধা এম এ রশিদ। সঞ্চালনা করেন মাদ্রাসার সভাপতি ও ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফজাল হোসেন।
সেলিম ওসমান বলেন, রাজনীতি মানে রাজনীতি, আমার বাপ-দাদা চৌদ্দ গোষ্ঠী রাজনীতি করেছে। রাজনীতি করতে হলে আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে হবেই। যদি সুষ্ঠ রাজনীতি হয়। রাজনীতি কোন খেলার জিনিস না।
নবীগঞ্জে ফেরি ব্যবস্থাপকদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সেলিম ওসমান বলেন, এখানে দুইটি ফেরি চলার কথা, আমার মানুষের কষ্ট পাওয়ার কথা না। কেনো একটা ফেরি চলবে? দুইটা ফেরিই চলতে হবে। কেন দুইটা ফেরি চলে না আমি জানি না। যদি দুইটা ফেরি চলাতে না পারেন তাইলে দায়িত্ব ছাইড়া দেন।
সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমি জানি না আল্লাহ আামাকে কেন এত কষ্ট দেন, মনে হয় আমার ইমানের পরিক্ষা নেন। কখনো পা ভেঙ্গে দেন, কখনো হাটুতে প্রবলেম, কখনো ঘারে প্রবলেম। আমি আমি আজকে আপনাদের কাছে পয়সা চাইতে আসি নাই, ভোট চাইতে আসি নাই। এখানে আমরা দুনিয়া এবং আখেরাতের জন্য কিছু করতে এসেছি। এখানে কোন দলের প্রশ্নই আসতে পারে না। যারা নেতৃত্ব দেবেন তাদের কাজ হচ্ছে মানুষের ভালো করা।
চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের প্রত্যেকজন চেয়ারম্যানের হাতে একটা করে স্কুল আছে। খুঁজে দেখেন, আপনার স্কুলে এতিম, অসহায় বাচ্চা কয়জন আছে। তাদের কাছ থেকে কোন পয়সা নিবেন না। প্রত্যেকটা স্কুলে তাদের জন্য হোস্টেল বানানোর যথেষ্ট জায়গা কিন্তু আছে। কাজ করবেন অন্তর থেকে, কাজ করবেন দুনয়ার জন্য, কাজ করবেন আখিরাতের জন্য। যাকাত এমন ভাবে দিবেন, যাতে দ্বিতীয়বার তার যাকাতের প্রয়োজন না পরে।
সেলিম ওসমান বলেন, বাইতুল মোকারমের সামনে আমাকে মুরগি বিক্রি করতে হয়েছে। এরশাদ সাহেবের আমলে আমি বাসের ড্রাইভারি করেছি। আমার পরিবারকে বাঁচায় রাখার জন্য। কসম করে বলতে পারি, আমি সেলিম ওসমান কারো কাছে হাত পাতি নাই। কোন মাজারে আমি মাথা নত করি নাই। আমার এক আল্লাহ, তিনিই আমার সহযোগীতা করবেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন আহমেদ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, এনসিসি ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা।