আমারে দেখলে শামীম ওসমান সালাম দিতো: মঈনুদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেছেন, , জামায়াতের সদস্য হওয়ার জন্য ফরম গ্রহণ করেছিলেন শামীম ওসমানের বাবা। তবে তিনি ফরমে স্বাক্ষর করেননি। ওসমান পরিবারের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে আমাদেরকে দেখলেই বলে ঠেইকা ছিলাম। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক তারাও বলে ঠেইকা ছিল। আমরা কি ঝগড়া করছি তাদের সাথে? শামীম ওসানের সাথে কোন দিন আমাদের ঝগড়া হয় নাই। আমারে দেখলে শামীম ওসমান সাহেব সালাম দিতো। লম্বা মানুষ ছিলো তো, সে বাঁকা হয়ে সালাম দিতো। আমি তার বাবার দোয়ার অনুষ্ঠানে গেছি।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের ২৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন, আমি তার (শামীম ওসমান) বাবাকে জামায়াতে ইসলামীরর দাওয়াত দিতে গিয়েছিলাম। অনেক আগের গোপন কথা বলে ফেললাম। জামায়াতে ইসলামীর যোগ দিতে তার বাবাকে দাওয়াত দিতে তাদের বাসায় গিয়েছিলাম। আমার সাথে আরো লোকজন ছিলো। উনি আমাকে খুব ভালোভাবে রিসিভ করেছে। আমার কাগজপত্র রিসিভ করেছে। চা খাওয়াইছে, বিস্কিট খাওয়াইছে। এরপরে আসার সময়ে সম্মানজনকভাবে উনি বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় তুলে দিয়ে গেছে। কিন্তু উনি জামায়াতে যোগদান করেন নাই। উনি আমার কাগজে স্বাক্ষর করেন নাই। কিন্তু গেছি আমি। ঝগড়া ছিলো না।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে এমন দিন কম যায়নি যে, তারা আমাদের অফিসে আগুন দেয় নাই, ভাঙ্গতে যায় নাই। ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এখনো ওই পরিবারের কাছে নারায়ণগঞ্জ থেকে শত শত কোটি টাকা পাঠানো হচ্ছে। এটা খুঁজে বের করার জন্য সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। কেউ বলতে পারবে না কে টাকা নিচ্ছে বা কার মাধ্যমে পাঠাচ্ছে। সাংবাদিকরা ছাড়া এটা কেউ খুঁজে বের করতে পারবে না। কোন কোন যায়গা থেকে কারা প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা ওসমান পরিবারের কাছে পাঠাচ্ছে। এটা বন্ধ করতে না পারলে আমরা আগের অবস্থায় থাকবো।
তিনি বলেন, যত বড় বড় কোম্পানি আছে সকলের সাথেই তাদের যোগযোগ ছিলো। সকল কোম্পানিতেই তাদের শেয়ার আছে। যারা এখনো দেশে আছেন, বাইরে যেতে পারে নাই এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। তারা এখানে থেকেই তাদের ব্যবসা বাণিজ্য করছে।
অনুষ্ঠানে তার পাশে থাকা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে উদ্দেশ্য করে মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওসমান পরিবারের ব্যবসা বাণিজ্য কোথায় কোথায় কি আছে; এটা কি সে জানে না! তাদের ব্যবসা কে চালায়, ওইটার ম্যানেজার কে এটা টিপু জানে না! টিপু যা জানে সে তা সাংবাদিকদের বলে দিবে। ফতুল্লাতে একটা ফ্যাক্টরি আছে ওটার মালিকানা এবং কি আছে সব দেখাইয়া দিবে। তাদের ব্যাবসা সব আছে, সচল আছে।