আমাকে কোন দলের লোক মনে করবেন না, আমি সবার লোক: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘একটা সময় ছিলো যখন যুদ্ধ করতে হয়েছে, দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে। এখন আর সেই অবস্থা নাই, এখন দেশের উন্নয়ন করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ তাদের সকল অঙ্গসংগঠন আমার পাশে আছে। আমাকে কেউ কখনো কোন দলের লোক মনে করবেন না, আমি সবার লোক। আমি মানুষকে ভালোবাসতে পেরেছি কিনা সেই পরিক্ষা আগামী ৭তারিখ হবে।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর থানা সংলগ্ন সেলিম ওসমানের প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমি কাজ করে প্রায় লক্ষাধীক নাতি-নাতনী পেয়েছি। যারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমরা একটাই চাহিদা, কেউ আমাকে ভোট দেক আর না দেক; মানুষ যাতে ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়। বিশ্বের কয়েকটি দেশ আমাদের টিটকারি মারছে। এবার আমাদের দেখিয়ে দিতে হবে, বাঙ্গালিরা ৯মাস যুদ্ধ করে যদি একটি দেশ বানাতে পারে; তাহলে বাঙ্গালিরা শতভাগ ভোটও দিতে পারে।’
বিএনপির সমালোচনা করে সেলিম ওসমান বলেন, ‘লন্ডন থেকে বসে ছোট, ছোট বাচ্চাদের আজ উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আগুন সন্ত্রাসী করানো হচ্ছে। আবার বলা হচ্ছে, কেউ যাতে ভোট দিতে যেতে না পারে। ৭০ভাগ দল আজ নির্বাচন করছে। নির্বাচন বানচালে এত বাধা, ট্রেন লাইন উঠিয়ে ফেলে, আগুন দেয়, হরতাল-অবরোধ ডাকে; লজ্জারও তো একটা সিমা আছে। ক্ষমতায় আসার জন্য ওনারা আজ আগুন সন্ত্রাস করছেন।’
সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘যতদিন দম চলবে, যতদিন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে পারবো; ততদিন আমি মানুষের জন্য কাজ করবো। আমি কোন দল দেখিনা, কথা একটাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। আমরা তো খাম্বা দেখেছি, বিদ্যুৎ দেখি নাই। আমরা যদি সোনার বাংলা গড়তে চাই, তাহলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালি করতে হবে। সারা বিশ্বকে দেখাতে হবে আমরা সত্যিকারের নির্বাচন করছি, একটি দলকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা নির্বাচন বন্ধ করে দিচ্ছি না। যারা নাকি মানুষের ক্ষতি করছে, মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারছে; এসব মানুষের এদেশে থাকার অধিকার আছে কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। সাধারণ মানুষের যদি ক্ষতি করা হয়, তাহলে আমরাও কিন্তু ছাড় দিবো না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেরা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল।লাহ সানু, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা আক্তার মালা, ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান মুন্না, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।