শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
Led04জেলাজুড়েসদরসোশ্যাল মিডিয়া

আমলাপাড়ায় ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীতে ‘ওয়াকফ’ বা মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রায় পঁচিশ বছর পর আইনি জটিলতার শেষ করে, তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে হাইকোর্ট মসজিদের পক্ষে আদেশ দেয়। পরবর্তীতে মৃত মা খোদেজা বেগমের ইচ্ছা পূরণে ছেলে মো. শাহজাহান ভূঁইয়া ও তাঁর পরিবার ‘ওয়াকফ’ জমিতে মসজিদের কাজ করতে গেলে, অভিযুক্ত আপন ভাইয়ের স্ত্রী ও তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে কে.সি নাগ রোড আমলাপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. শাহজাহান ভূঁইয়া ৪জনের নাম উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, আমলাপাড়া কে.সি নাগ রোড এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী জিনাত জহুরা মুক্তা (৪০), একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে আবু রায়হান (২৫) ও রোহান (২২), খোরশেদ আলমের ছেলে হীরা (৪০)।

অভিযোগ পত্রে মৃত খোদেজা বেগমের ছেলে মো. শাহজাহান ভূঁইয়া উল্লেখ করেন, ১৯৯৯ সালে আমার মা মৃত্যুর আগে রেজিস্ট্রি করে ১৪নং কে.সি নাগ রোড আমলাপাড়া এলাকায় ৪ শতাংশ সম্পত্তি ‘আমলাপাড়া বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ’র নামে ওয়াকফ করিয়া দেন। কিন্তু ওই সম্পত্তি আমার ভাই মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী জিনাত জহুরা মুক্তা ও তার মায়ের বাড়ির আত্মীয়রা জোরপূর্বক দখল করার জন্য, একটি ভুয়া ও জাল স্ট্যাম্প তৈরী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর চলতি মাসের ১২ তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন মামলা নং- ৩১১২/২০০৬ প্রেক্ষিতে মসজিদের পক্ষে আদেশ প্রদান করেন।

তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের রায় পেয়ে আমি আমলাপাড়া বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে মোতাওয়াল্লীসহ স্থানীয় লোকজন নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করতে যাই। এ সময় আমার ভাইয়ের স্ত্রী জিনাত জহুরা মুক্তা ও তার মায়ের বাড়ির আত্মীয়রা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানা ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি দেয়। আমি ও আমার পরিবার মসজিদের নামে একটি ব্যানার স্থাপন করার সময়, আমার ভায়ের স্ত্রী জিনাত জহুরা মুক্তা ও তার মায়ের বাড়ির আত্মীয়রা মিলে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে। আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

অভিযোগ পত্রে জানানো হয়, এ সময় আমার সাথে থাকা গাজী ইফতেকার উদ্দিন রনি, সায়মন, ইমরান আহম্মেদ, রওশন আরা বেগমকে বেদরক মারধর শুরু করে। একপর্যায় অভিযুক্ত আবু রায়হান আমার সাথে থাকা গাজী ইফতেকার উদ্দিন রনি’র নাকে ঘুসি দিয়ে, নাকের ভিতরে হাড় ফাটা ও রক্তাক্ত জখম করে। অভিযুক্ত রোহানের হাতে থাকা কাটের দাসা দিয়ে আঘাত করে রওশন আরা বেগম’র ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা জখম করে। পরে আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজনদের আগাইয়া আসলে, বিবাদীরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিতে থাকে। তারা বলেন ‘ভবিষ্যতে ওই সম্পত্তির ব্যাপারে আমি কোন প্রকার বারাবারি করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে চলে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযুক্তরা যেকোন সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করছি।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ জানায়, আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্ত চলমান আছে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

RSS
Follow by Email